রবিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া যাবেন ২৬ মার্চ

প্রতিরক্ষাসহ ৫-৬টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফরে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া পরিদর্শন করবেন। তার আগে ২৬ মার্চ ঢাকায় জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষণ দেবেন। ভারত-বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ প্রস্তাব দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরে প্রতিরক্ষা সমঝোতাসহ ৫-৬টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা প্রস্তাবে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন। দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানের পর একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা ভারত সরকার এতে সম্মতি দিচ্ছে।’ বাংলাদেশ সরকার ১৭ মার্চ থেকে ১০ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদযাপনে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে। কর্মসূচির শেষ দিনে নানা অনুষ্ঠান থাকায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ২৭ মার্চ করা হবে। তার আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি টুঙ্গিপাড়া পরিদর্শন করবেন।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ-চীন-মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে তার বিবরণ তিনি ভারতকে জানান। ওই বৈঠকের পর মিয়ানমার সরকার আগামী মে মাস থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা চাই প্রত্যাবর্তনের সময় ভারত ও জাপানের মতো দেশগুলো তা পর্যবেক্ষণ করুক।

যাতে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা বাড়ে।’ তিনি এও বলেন, ‘আমাদের মনে হয় মিয়ানমার সরকার এতে আপত্তি করবে না।’

এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছে, ‘বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। ভারত সরকারও পৃথকভাবে প্রচারের আলো এড়িয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে।’ তিনি এও বলেন, ‘ভারত এই উপমহাদেশের একমাত্র দেশ যাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে। তাই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের স্বার্থ রয়েছে।’

পররাষ্ট্র সচিব মোমেন মনে করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর ঐতিহাসিক হবে। এই সফরে সমঝোতা স্মারকগুলো তার অন্যতম ইঙ্গিত। এর মধ্যে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পালন উপলক্ষে বিশেষ ডাকটিকিট দুই প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ করবেন। প্রতিরক্ষা সমঝোতা আগেই হয়েছে। এবার দুই দেশের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সহযোগিতার সমঝোতা স্বাক্ষরিত হবে। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফরের সময় বর্তমানে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাপু-বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম ঢাকায় প্রদর্শিত হবে। তারপর বিশ্বের কয়েকটি রাষ্ট্রের রাজধানী এবং জাতিসংঘেও প্রদর্শিত হবে। এ ছাড়া কয়েকটি উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন সামাজিক প্রকল্প ঘোষিত হবে প্রধানমন্ত্রীর সফরে। পরিকল্পনা রয়েছে ফেনী নদীর ওপর নির্মীয়মাণ সেতু ওই সময়ে দুই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। সেতু হয়ে গেলে ত্রিপুরার সাবরুম থেকে বাংলাদেশের রামগড় পর্যন্ত সংযোগ স্থাপিত হয়ে চট্টগ্রামের দূরত্ব কমে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর