রবিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

শাহজালালে সোনা ও ইয়াবাসহ ধরা পড়ল চারজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২ কেজি সোনা ও ২ হাজার ৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে এপিবিএন-১৩-এর সদস্যরা। তারা হলেন- মো. কামাল পারভেজ, মো. ফরিদুল আলম, গোলাম মোস্তফা মন্ডল ও মোহাম্মদ আলী। পরে তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে। এপিবিএন-১৩-এর অতিরিক্তি এসপি আলমগীর হোসেন শিমুল জানান, শুক্রবার রাতে বিমানবন্দরের আগমনী ২ নম্বর টার্মিনালের আউট গেটের পাশের কার পার্কিং এলাকা থেকে কামাল ও ফরিদুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তল্লাশি করে কামালের ব্যাগে আটটি সোনার বার পাওয়া যায়, যার ওজন ৯২৮ গ্রাম এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া কামালের কাছে তিনটি ব্রেসলেট, নয়টি চেইন, একটি লকেট, দুটি কানের দুল, তিনটি আংটি, দুটি গলার হার, একটি ঝাপটা পাওয়া যায়। এগুলোর ওজন ২৬৮ গ্রাম এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ১৪ লাখ টাকা।

এ ছাড়া ফরিদুলকে তল্লাশি করে ৪৬৪ গ্রাম ওজনের চারটি সোনার বার পাওয়া যায়। এ ছাড়া ২০০ গ্রাম ওজনের ২১টি আংটি, ১৯টি লকেট, ১৪টি চেইন ও দুটি চুড়ি পাওয়া যায়। দুই কার্টন ডানহিল সিগারেট, একটি ব্যবহৃত স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-৪ সেট, একটি ব্যবহৃত স্যামসাং গ্যালাক্সি জে-১ সেট, পাওয়ার ব্যাংক, ৭ হাজার ৩০০ টাকাও পাওয়া যায়। ফরিদুলের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মালামালের মূল্য ৩৮ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ টাকা।

গ্রেফতারকৃত কামালের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ও ফরিদুলের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগড়ায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালানে সম্পৃক্ত। অবৈধ পন্থায় সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে সোনার বার ও অলঙ্কার এনেছেন। জব্দকৃত সোনার বার, অলঙ্কার, মোবাইল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের গুদামে সংরক্ষণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

এপিবিএন কর্মকর্তা শিমুল আরও জানান, গতকাল দুপুরে বিমানবন্দরের ডমেস্টিক টার্মিনালের পাবলিক টয়লেট এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে মোস্তফা ও আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোস্তফা কক্সবাজার থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। পেটের মধ্যে বিশেষ কায়দায় সে ইয়াবা বহন করছিলেন। মোস্তফাকে এক্স-রে করলে তার পেটে ২ হাজার ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে ওই ইয়াবা ট্যাবলেট তার পেট থেকে বের করা হয়। এ ছাড়া মোস্তফার কাছ থেকে ইয়াবা রিসিভ করতে আসা আলীকে গ্রেফতার করে ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের কলাতলীর একটি হোটেলে তাকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ায় সেলিম নামে এক ব্যক্তি। সেই ইয়াবা ট্যাবলেট ঢাকার রহমান নামে এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছানোর কথা ছিল। মোস্তফা এর আগেও একইভাবে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। মোস্তফার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় এবং আলীর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ সদরে। মাদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর