বড় ধরনের উত্থান দিয়ে চলতি মাসের লেনদেন শুরু হলেও শেষে এসে দরপতনের মুখে পড়েছে শেয়ারবাজার। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিনে শেয়ারবাজারে একপ্রকার ধস নেমেছে। আগের সপ্তাহেও লেনদেনের পাঁচ দিনের তিন দিন দরপতন হয়েছিল। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিন শেষে সূচক কমেছে ৭৪ পয়েন্ট।
দিনের লেনদেনে ব্যাংক, বীমা, প্রকৌশল, আর্থিক খাত ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার দর মূলত বড় ধরনের পতন হয়েছে। লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক খাতের শেয়ারের দরপতন হতে থাকে। ডিএসইর বাজার পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, তালিকাভুক্ত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪টির দর কমেছে, বেড়েছে মাত্র একটির। বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২৩টির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ১টির। বীমা খাতের ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের ৪টির দর বেড়েছে। তবে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল ওষুধ ও সিমেন্ট খাতে। এই দুই খাতে পতনের থেকে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান। ওষুধ খাতের ১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ৭টির। আর সিমেন্ট খাতের ৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টির শেয়ার দাম বেড়েছে।
বিপরীতে দাম কমেছে ২টির। লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৫৬টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ২১০টির। আর ৯০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ৭৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৪৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৮২৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ৯৪১ কোটি ৮ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫৫ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ২ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮৭ টাকা ২০ পয়সা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ৫৫ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এবং লাফার্জহোলসিম। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪২টির এবং ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।