সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
শীতের দাপট উত্তরাঞ্চলে

মানবেতর দিন কাটাচ্ছে হাজার হাজার পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর অঞ্চলে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের জনজীবন। গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে প্রকৃতি। গতকাল রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সাত দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশেষ করে নদী-তীরবর্তী বিভিন্ন চরাঞ্চলে বসবাসকারী হাজার হাজার পরিবার শীতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। তাদের মাঝে এখন পর্যন্ত কোনো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। রংপুরে রয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক শীতার্ত মানুষ। এর মধ্যে শুধু রংপুর মহানগরীতেই বাস করে প্রায় ৭০ হাজার ভাসমান নারী-পুরুষ। এরা রেলস্টেশনের প্ল্যাটফরম, বিভিন্ন অফিস-আদালতের বারান্দা আর ফুটপাথে রাত কাটায়। এদের কারও নেই প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র। কদিন ধরে এমন তাপমাত্রা বিরাজ করায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না মানুষজন। প্রচ- শীতে মারা পড়ছে পালিত হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল। অপরদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূূত্রে জানা গেছে, শীতের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রকোপ। গত কয়েক দিনের তুলনায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গতকাল রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সাত দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা  আরও দু-একদিন থাকতে পারে।

এদিকে গত কয়েক দিনের অব্যাহত ঘন কুয়াশাসহ শৈত্যপ্রবাহের কারণে রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় উঠতি আলুখেতে ব্যাপক হারে মড়ক বা পচন রোগ দেখা দিয়েছে। এতে এলাকার কৃষক চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

তামপাট এলাকার কৃষক নাজিম উদ্দিন ও শাহ আলম জানান, গত বছর দুই বিঘা জমিতে আলু আবাদে ২০ হাজার টাকা খরচ হলেও এবার সারসহ কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকের দাম বেশি হওয়ায় বিঘাপ্রতি অন্তত ৪ হাজার টাকা খরচ বেড়ে যাবে। তার ওপর এই শীতের কারণে আলুর ক্ষতি হলে কৃষকদের সর্বনাশ হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর