বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে চলছে লবণপানি উত্তোলন

খুলনায় ৪৫০ প্রভাবশালীর তালিকা পাউবোতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার দাকোপ, পাইকগাছা ও কয়রায় উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে আবারও লবণপানি উত্তোলন করা হচ্ছে। এরমধ্যে দাকোপ ও পাইকগাছার সাতটি পোল্ডারে প্রায় ৪৫০ স্থানে বেড়িবাঁধের মধ্যে পাইপ ঢুকিয়ে চিংড়ির ঘেরে লবণপানি নেওয়া হচ্ছে। এতে বেড়িবাঁধের ওই স্থানগুলো দুর্বল-ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এদিকে কৃষি ও পরিবেশ বাঁচাতে লবণপানির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে এ অঞ্চলের মানুষ। গতকাল মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন করেছে এলাকার বাসিন্দারা। জানা যায়, উপকূলীয় পাইকগাছায় ১০/১২, ১৮/১৯, ২০, ২০/১, ২১, ২৩ ও দাকোপের ৩১ নম্বর পোল্ডারের আওতায় ২২২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে অনেক জায়গায় বাঁধ ছিদ্র করে পাইপ বসিয়ে ও কালভার্ট তৈরি করে লবণপানি উত্তোলন করছে ঘের মালিকরা। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪৫০ স্থানে বাঁধ ছিদ্র করে পাইপ বসানোর কাজে জড়িতদের তালিকা সংগ্রহ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন কুমার দাস বলেন, প্রভাবশালীরা রাতের আঁধারে বোরিং করে (খনন) বেড়িবাঁধ কেটে পাইপ বসাচ্ছেন। এই পাইপ দিয়ে লিজ মালিকরা চিংড়ি ঘেরে লবণপানি তোলায় চারপাশের কৃষি উপযোগী জমি নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়রা কৃষি কাজে ফিরে যেতে চায় কিন্তু প্রভাবশালীদের কারণে পারছে না। তিনি বলেন, এই মৌসুমে তারা যেন লবণপানি ঢুকাতে না পারে এ কারণে মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া মানববন্ধন, সমাবেশ বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কৃষি ও প্রাণ প্রকৃতি সুরক্ষা কমিটি, পাইকগাছার আয়োজনে পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধনে এলাকার কয়েকশ মানুষ অংশ নেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড, খুলনা-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি বলেন, বিভিন্ন সময় বাঁধ ছিদ্র করে ঘেরে লবণপানি উত্তোলন করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এ জায়গাগুলোতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুসারে লবণপানি উত্তোলন বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৬-১৭টি স্থানে পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আরও কিছু স্থানে পাইপলাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।      

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর