শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

এক বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি আছে মৃত ব্যক্তির নাম

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সম্মেলনের দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে ৭১ জনের নাম অনুমোদন করা হয়েছে। তবে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিটি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট। এদিকে কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে একজনের নাম আছে যিনি দেড় মাস আগে মারা গেছেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভপতি হিসেবে মেরাজ উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবদুল ওয়াদুদ দারা এবং যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে আয়েন উদ্দিন ও লায়েব উদ্দিন লাভলুর নাম ঘোষণা করা হয়। এই চারজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তারা দলের ত্যাগী ও প্রকৃত সদস্যদের নিয়ে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে তাদের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠাবেন। তবে দলীয় কোন্দল ও নতুন নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘ সময় পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন পায়নি। যদিও দুই দফা কমিটির নাম পাঠানো হয় কেন্দ্রে। তবে পকেট কমিটি গঠন ও কমিটিতে অনুপ্রেবেশকারীদের নাম দেওয়ার অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে ওই কমিটিগুলো অনুমোদন পায়নি। বিষয়টি নিয়ে দলীয় প্রধানকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়।

অবশেষে গত বুধবার কেন্দ্র থেকে ৭১ সদস্যের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে এ কমিটির অনুমোদন দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

কমিটিতে কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর মতো জনপ্রিয় কিছু নেতা নতুন করে স্থান পেয়েছেন। আবার কাউকে কাউকে ঘিরে নেতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে নাম থাকা অ্যাডভোকেট সুশান্ত কুমার ঘোষ মারা গেছেন দেড় মাস আগে। সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ এস এম একরামুল হক চাকরি করেন পুঠিয়ার একটি সরকারি কলেজে।

কমিটি অপূর্ণ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘অনেক সময় ত্যাগী নেতারা কমিটি থেকে বাদ পড়ে যান। সে কারণে চারটি সদস্যপদ ফাঁকা রাখা হয়েছে। এসব পদের বিপরীতে ইতিমধ্যে দুটি নাম আমি পেয়েছি। জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সভায় পদ চারটি পূরণ হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, যখন কমিটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয় তখন অ্যাডভোকেট সুশান্ত কুমার ঘোষ জীবিত ছিলেন। পরে মারা গেছেন। কিন্তু তার নামটি কমিটিতে থেকে গেছে। প্রথম সভায় এটিও সংশোধন করা হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর