শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় ‘গীতি চন্দ্রাবতী’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় ‘গীতি চন্দ্রাবতী’

শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো সংস্কার নাট্যদলের নাটক ‘গীতি চন্দ্রাবতী’। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় দলের নিয়মিত প্রযোজনার এই নাটকটি। নয়ান চাঁদ ঘোষের রচনায় নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন ইউসুফ হাসান অর্ক। বাল্যকালে চন্দ্রাবতীর বন্ধু ও খেলার সাথী ছিল জয়ানন্দ নামের এক অনাথ বালক। কৈশোর উত্তীর্ণ হলে স্থির হয় বিয়ে করবে তারা। ঠিক হয় বিয়ের দিন। এরই মাঝে জয়ানন্দ প্রেমে পড়ে এক মুসলিম নারী আসমানীর। জয়ানন্দ ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয় এবং বিয়ে করে আসমানীকে। যেদিন জয়ানন্দ বিয়ে করে সেইদিনই চন্দ্রাবতীর সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা। বধূ সাজে সজ্জিত চন্দ্রাবতী জানতে পারে জয়ানন্দ বিয়ে করেছে অন্যত্র। ব্যথাতুর চন্দ্রাবতী প্রতিজ্ঞা করে কুমারী থেকে শিবের সাধনায় জীবন কাটাবে। এভাবেই এগিয়ে যায় বিয়োগাত্মক গল্পের এই নাটকটির কাহিনী। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনামী ইসলাম কনক (নাট্যকেন্দ্র), বাপ্পী সাইফ, ফাতেমা তুজ জোহরা ইভা, আশিকুর রহমান, নাবা চৌধুরী, খন্দকার রাকিবুল হক, মাসুদ কবির, হুমায়রা তাবাসসুম নদী, রাকিবুল ইসলাম রাসেল, মেছবাহুর রহমান, জান্নাত তাসফিয়া বাঁধন, ইগিমি চাকমা, মোস্তফা জামান সৌরভ প্রমুখ। দেশব্যাপী গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন : পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি করে জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গণগ্রন্থাগারের ভূমিকাকে দৃঢ় করার লক্ষ্যে গতকাল সারা দেশে একযোগে পালিত হলো চতুর্থ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২১। জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদফতর আয়োজিত গ্রন্থাগার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, ঘরে ঘরে গ্রন্থাগার’। বিকালে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় গণগ্রন্থাগারের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি ও সংস্কৃতি সচিব মো. বদরুল আরেফীন। স্বাগত বক্তৃতা করেন গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচলক মো. আবুবকর সিদ্দিক।

তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রন্থাগারকে সব সময় আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের উন্নয়নে এটিকে গুরুত্ব না দিয়ে কোনো উপায় নেই। লাইব্রেরির আবেদন কখনো শেষ হবে না। সারা দেশে গ্রন্থাগার তৈরির জন্য মুজিব কর্নার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের প্রভাব এক দিন অনেক বড় আকার ধারণ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।

অন্যদিকে আয়োজনের অংশ হিসেবে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার গ্রামে গ্রামে পাঠাগার’ প্রতিপাদ্যে ঢাকা মহানগরের ১০টি গ্রন্থাগার দিবসটি পালন করে। পাঠাগারগুলো হলো-  গ্রন্থবিতান (লালবাগ), সীমান্ত গ্রন্থাগার (গে-ারিয়া), শহীদ বাকী পাঠাগার (খিলগাঁও), দনিয়া পাঠাগার (দনিয়া), বুকল্যান্ড লাইব্রেরি (বসুন্ধরা), অনির্বাণ পাঠাগার (পলাশপুর, দনিয়া), তাহমিনা ইকবাল পাঠাগার (বাউনিয়া), সৃষ্টি পাঠোদ্যান (রূপনগর), শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি পাঠাগার (নাখালপাড়া), শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগার (কড়াইল)। আলোচনা, সেমিনার ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সাজানো ছিল এই আয়োজন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর