রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় লোকসানে ডেভেলপাররা

সিমেন্ট ছাড়া সব পণ্যের বাজার চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় ধাক্কার কবলে পড়েছেন রাজশাহীর ডেভেলপাররা। করোনার ধাক্কায় এখনো সামাল দিয়ে উঠতে পারেননি এ খাতের ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করেই রাজশাহীতে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। কোনো কারণ ছাড়াই নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ানোর কারণে বেকায়দায় পড়েছেন বহুতল ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক ডেভেলপার পণ্যসামগ্রীর দাম বাড়ায় নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন। জানা গেছে, বহুতল ভবন নির্মাণের প্রধান সামগ্রী রডের দাম বেড়েছে প্রতিটনে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বেড়েছে টাইলস ও থাইয়ের দাম। দেশি-বিদেশি টাইলসের দাম এখন স্কয়ারফুট হিসেবে অতিরিক্ত ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বালুর গাড়ির দাম বাড়ানো হয়েছে ট্রাকপ্রতি এক হাজার টাকার বেশি। একমাত্র সিমেন্ট ছাড়া প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে ১০ থেকে ২০ ভাগ। ইটের দামও বাড়তির দিকে। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ডেভেলপাররা। একটি ভবন নির্মাণ করতে এখন ১৫ থেকে ২০ ভাগ অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে ডেভেলপারদের। শুধু ডেভেলপারদেরই নয়, যারা পাকা বাড়ি নির্মাণ করছেন তাদেরও এ পরিমাণ অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে।

আবাসন ব্যবসায়ীদের হিসাব অনুযায়ী, একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করতে ব্যয় ধরা হয়েছিল পাঁচ কোটি টাকা। এখন এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ ভাগ টাকা।

রাজশাহী রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশনের (রেডা) সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কাজী বলেন, করোনার সময়ে প্রায় সব খাতেই সরকার অনুদানসহ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে সরকারকে সর্বোচ্চ রাজস্বদাতা আবাসন ব্যবসায়ীরা কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাননি। তারপরও তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ানোর কারণে চরম বেকায়দায় পড়েছেন ডেভেলপাররা। এক ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই আবারও ধাক্কার কবলে ডেভেলপাররা। তিনি বলেন, একটি ভবন নির্মাণ শুরুর আগে ও পরে ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে যায়। এখন নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। কিন্তু ফ্ল্যাটের দাম বাড়েনি। সবদিক হিসাব করে ফ্ল্যাটের মূল্য নির্ধারণ করা ছিল ও বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু এখন নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় ডেভেলপারদের বিক্রি করা ফ্ল্যাট নির্মাণ শেষে লোকসানের হিসাব গুনতে হবে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন ডেভেলপাররা।

রাজশাহী রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তৌফিকুর রহমান লাভলু বলেন, করোনাকালীন তারা কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাননি। সবে মাত্র ডেভেলপাররা কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে। অতিরিক্ত যে টাকা ব্যয় হবে, সেই টাকা আসবে কোথা থেকে- এখন ডেভেলপাররা কি করবে এ নিয়ে চিন্তায় পড়ে  গেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর