রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের গভীরতাতেই সম্ভব অর্থনৈতিক মুক্তি : তথ্যমন্ত্রী

কলকাতা প্রতিনিধি

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের গভীরতাতেই সম্ভব অর্থনৈতিক মুক্তি : তথ্যমন্ত্রী

কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ১০ লক্ষাধিক বাঙালির উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণের ৪৯ বছর পূর্তি দিবসে সেখানে দাঁড়িয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের গভীরতাতেই দুই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব। গতকাল সন্ধ্যায় মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সহায়তায় ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি স্মরণে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, বিশেষ অতিথি হিসেবে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সারওয়ার কমল কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। মন্ত্রীর সফরসঙ্গী আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সফররত তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিশিষ্ট সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা, সুভাষ সিংহ রায়, বাংলাদেশ হাইকমিশন দিল্লির প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ ও অভিনয়শিল্পীসহ বিশিষ্টজনেরা এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

মৈত্রী সম্মাননা ভূষিতদের মধ্যে জাদুকর প্রদীপ চন্দ্র সরকার, সাংবাদিক মানস ঘোষ, সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত, পঙ্কজ সাহা, দিলীপ চক্রবর্তী, মানবাধিকার কর্মী উৎপলা মিশ্রা, অধ্যাপক জিষ্ণু দে ও তাঁর স্ত্রী মীরা দে, প্রণবরঞ্জন রায়, ভাষাবিদ পবিত্র সরকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি কালজয়ী কবি গোবিন্দ হালদার, কালজয়ী গায়ক মান্না দে, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও সাবেক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ রায়, কংগ্রেস নেতা বিজয় সিং নাহার, ঔপন্যাসিক মৈত্রী দেবী, সমাজসেবী লেডি রানু মুখার্জি, সমাজসেবী ইলা মিত্র, সাংবাদিক পান্না লাল দাশগুপ্ত, বাম নেতা রণেন মিত্র, আকাশবাণী ঘোষক দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী, সাংবাদিক উপেন তরফদার, গায়ক অংশুমান রায়, সাংবাদিক দিলীপ মুখার্জি, লোকসভা ও রাজ্যসভার সাবেক সাংসদ ও সমাজসেবী ফুলরেণু গুহ, সাংবাদিক বাসব সরকার, নিবেদিতা নাগ ও নেপাল নাগের মতো মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রাপকদের পরিবারের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ড. হাছান মাহমুদ ও সুব্রত মুখার্জি। অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে দিবসটি উপলক্ষে কলকাতা উপহাইকমিশন প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন তারা।

মুক্তিযুদ্ধে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের অবদান স্মরণ করেই এদিনের আয়োজন উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, মানবিক-অর্থনৈতিকসহ সব সূচকে সেই পাকিস্তানকে অনেক পেছনে ফেলে আমরা এগিয়ে গেছি। আজ পাকিস্তানের জনগণ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতি দেখে হা-হুতাশ করে, তারা বাংলাদেশের মতো হতে চায়, এখানেই স্বাধীনতার বিরাট সার্থকতা।’

সম্মানীয় অতিথি সুব্রত মুখার্জি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পশ্চিমবঙ্গের কাছের মানুষ ছিলেন। ১৯৭২ সালের সেদিন দুপুর ১টার মধ্যে কানায় কানায় ভরে গিয়েছিল ব্রিগেড। ৩টের সময় রাজভবন থেক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ইন্দিরা গান্ধী এ ব্রিগেডে আসেন। আমি তখন মঞ্চের নিচে ছিলাম। এটা আজ পর্যন্ত আমার দেখা ব্রিগেডে সর্বকালের সেরা জনসমাবেশ।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর