সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

অ্যানালগ পদ্ধতিতে চলছে রংপুরের ট্রাফিক ব্যবস্থা

নগরীর সাতটি আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল প্রকল্প ২২ বছর ধরে ফাইলবন্দী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর


অ্যানালগ পদ্ধতিতে চলছে রংপুরের ট্রাফিক ব্যবস্থা

রংপুর নগরী সিটি করপোরেশনের মর্যাদা লাভের আট বছর পার হলেও ব্যস্ততম সড়কগুলোর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে এখনো চলছে অ্যানালগ পদ্ধতি। বছরের পর বছর রোদে পুড়ে কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে ট্রাফিক পুলিশকে হাত দেখিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। এতে করে যানজট নিরসনে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের একদিকে যেমন হিমশিম খেতে হয়, অপরদিকে যানজটে নাকাল হচ্ছেন নগরবাসী। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় নগরীতে যানজট বেড়েই চলছে।  সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন পৌর পরিষদ নগরীর সাতটি পয়েন্টে আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনের জন্য ৯ লাখ টাকার যে প্রকল্পটি গ্রহণ করেছিল সেই প্রকল্পের ফাইলটি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে অন্ধকারেই পড়ে আছে। ফাইলটি আদৌ আলোর মুখ দেখবে কি না সে ব্যাপারে সন্দিহান নগরবাসী। তৎকালীন পৌর পরিষদ শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাহাজ কোম্পানি মোড়, বেতপট্টি মোড়, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট মোড়, শাপলা চত্বর, মডার্ন মোড, মেডিকেল মোড় ও মাহিগঞ্জ সাতমাথা মোড়ে আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এ জন্য ওই খাতে ৯ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে টেন্ডার প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু টেন্ডার আহ্বান করার আগেই ওই পৌর পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে। এর পরে বেশ কজন পৌর মেয়র তাদের মেয়াদ পার করেছেন। এখন রংপুর সিটি করপোরেশন। কিন্তু আধুনিক ট্রাফিক সিস্টেম নিয়ে কারও মাথাব্যথা ছিল না। ফলে আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনের প্রকল্প ফাইলটি চাপা পড়ে যায়।  ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ডিজিটাল পদ্ধতির পরিবর্তে এখনো চলছে হাত তোলা নীতি। সুষ্ঠু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অভাবে দিন দিন জনগণের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে।

রংপুর সিটি করপোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা আশ্বাস দিয়ে জানান, রংপুর সিটি করপোরেশনকে আদর্শনগর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দিনে রাতে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এখন ট্রাফিকের ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে। তিনি জানান, আমরা আশাবাদী ছয় মাসের মধ্যে ট্রাফিকের ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর