সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আট শিক্ষার্থীকে হল থেকে করে দেয় ছাত্রলীগ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি হলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা অন্তত আট শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে হল থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক মাসে এই শিক্ষার্থীরা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি হলে মারধরের শিকার হয়ে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের মামলার পর বিষয়টি সামনে আসে। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা।  ফজলে রাব্বি হলের একটি সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক জামিউল ইসলাম ফুয়াদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। কেউ তাদের কথা না শুনলে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। গত ২৯ নভেম্বর কে-৭৬ ব্যাচের রাকিব সায়মনকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়। মুনতাসির অর্ণব, জোবায়ের জাদিদ ও সায়মন নামে কয়েকজনকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। একই ঘটনা ঘটে ৬ জানুয়ারি কে-৭২ ব্যাচের সামসাদ সারওয়ার সামিনের সঙ্গেও। গত ১২ জানুয়ারি একই ব্যাচের ইন্টার্ন শিক্ষার্থী শাওন ও সিফাতকে মেরে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। সবশেষ, গত ১৪ জানুয়ারি ইন্টার্ন রোস্টার তালিকার জেরে মারধর করা হয় কে-৭২ ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসক এ এস এম আলী ইমামকে।

 এ ঘটনায় তিনি চকবাজার থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার খান, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিউল ইসলাম ফুয়াদ, কে-৭২ ব্যাচের ইশমাম আহমেদ, সৈয়দ হাসান ইভেন, শেখ সোহেল, ইবরাহীম হাওলাদার, তানভীর আহমেদ আকাশ এবং কে-৭৩ ব্যাচের ফয়সাল ইরতিজাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জামিউল ইসলাম ফুয়াদ বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। যারা পরীক্ষার্থী তারাই হলে থাকতে পারছে। মারধরের অভিযোগ যারা করেছে, সেটি একেবারেই ভিত্তিহীন। কেননা এখন শিক্ষার্থীরা তো হলেই থাকছে না।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মেরে বের করে দেওয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আমার জানা মতে কোনো ইন্টার্নকেও মারা হয়নি। গত ১৪ জানুয়ারি নির্যাতনের শিকার আলী ইমাম মারধরের অভিযোগ এনে জামিউল ইসলাম ফুয়াদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এর জবাবে ফুয়াদ বলেন, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে করা হয়েছে। ঘটনার সময় আমি একটা রেস্টুরেন্টে ছিলাম। পরে আমি মীমাংসা করে দিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর