সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নকল কসমেটিকসের ছড়াছড়ি খুলনায়

দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের বোতলে ভেজাল পণ্য

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনার বাজারগুলোতে এখন নকল কসমেটিকসের ছড়াছড়ি। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটে বা বোতলে ভেজাল পণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যে নতুন লেভেল (মোড়ক) দিয়েও তা বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে নকলের ভিড়ে আসল পণ্য বেছে নেওয়াই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা যায়, গত দুই মাসে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা ও রূপসা আইচগাতি সেনেরবাজার এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল কসমেটিকস পণ্য, অসংখ্য খালি পারফিউমের বোতল, পাউডারের প্যাকেট ও পারফিউম, ভ্যাসলিন তৈরির কেমিক্যাল জব্দ করা হয়। এখানে নিম্নমানের আটা, তেল, গ্লিসারিনসহ মোম রং পানি কেমিক্যাল মিশিয়ে নামি-দামি কোম্পানির আদলে ভেজাল প্রসাধনী তৈরি করা হতো। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এসব পণ্য ব্যবহারে স্কিন ডিজিস, অ্যালার্জি ও স্কিন ক্যান্সার হতে পারে। এদিকে সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি খুলনা র‌্যাব-৬-এর অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ নকল কসমেটিকস পণ্য বিক্রির অভিযোগে গোলাম মোস্তফা (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি ঝিনাইদহ শৈলকুপার মৃত শহর আলী বিশ্বাসের ছেলে।

 কনজুমার অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. এনায়েত আলী বলেন, নকলের ভিড়ে ক্রেতাদের আসল পণ্য খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পাশাপাশি আসল ও নকল দুই পণ্যের গায়ে একই ধরনের লেভেল থাকে। এতে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের গাফিলতিতে ভেজাল পণ্যে বাজার ছেয়ে গেছে। তিনি মনে করেন, এর পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে। তবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, খুলনা বিভাগের উপপরিচালক মো. ইব্রাহীম হোসেন জানান, খুলনায় নকল কসমেটিকসের বিরুদ্ধে পরপর কয়েকটি অভিযান হয়েছে। কারা এসব পণ্য মার্কেটিং করছে, কোথা থেকে এসব আসছে, কারা এতে জড়িত সবকিছু মনিটরিং করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর