মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সোনায় ভ্যাট নিয়ে বিভ্রান্তি

করণীয় জানতে চেয়ে এনবিআরে চিঠি বাজুসের

রুহুল আমিন রাসেল

সোনার গয়না বিক্রিতে ভ্যাট নিয়ে ক্রেতা আর বিক্রেতারা বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। এমন তথ্য দিয়ে সোনা ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুস বলেছে, ক্রেতাপর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট বড় অঙ্কের অর্থে পরিণত হচ্ছে। এত অর্থ ক্রেতারা দিতে ব্যাপকভাবে অনীহা প্রকাশ করছে। ক্রেতা ও বিক্রেতা পর্যায়ে প্রায়ই বিতন্ডার সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সোনার মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে বা আগের মতোই মূল্য নির্ধারণ করা উচিত হবে কিনা জানতে চেয়ে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে বাজুস।

এ প্রসঙ্গে বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ভ্যাট নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিভ্রান্ত। তাই এনবিআরের কাছে পরিষ্কারভাবে জানতে চেয়েছি আমাদের করণীয় কী? কারণ আইনে আছে, পণ্যমূল্যের সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করতে হবে। এটা করতে গেলে মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ক্রেতা ও রাজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও বিতন্ডা হচ্ছে। এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে অতিসম্প্রতি পত্র দিয়েছে বাজুস। সোনার মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট ও মজুরি অন্তর্ভুক্তিকরণ’ শীর্ষক ওই পত্রে বলা হয়, ‘আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য গ্রাহকদের (ক্রেতা) সেবা নিশ্চিত করা, সোনা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা এবং দেশীয় সোনাশিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করা। সোনা শতভাগ আমদানিনির্ভর ধাতু হওয়া সত্ত্বেও গ্রাহকপর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট বিদ্যমান রয়েছে। মূল্যবান ধাতু বিধায় গ্রাহকপর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট বড় অঙ্কের অর্থে পরিণত হয়। ফলে এ দেশের স্বল্প ও মধ্যম আয়ের গ্রাহকরা ভ্যাট প্রদানে ব্যাপকভাবে অনীহা প্রকাশ করছেন। ভ্যাট আদায়ে গ্রাহক ও দোকানি পর্যায়ে প্রায়ই বিত-ার সৃষ্টি হচ্ছে। পত্রে আরও বলা হয়, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও রাজস্ব আদায়ে আমরা শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাজুস অতিরিক্ত সাধারণ সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোনা মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে পুনরায় মূল্য নির্ধারণ করার। সোনা মূল্যবান ধাতু বিধায় এর সঙ্গে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ও মজুরি যোগ করলে ২২ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি  সোনা বর্তমান বাজারে মূল্য দাঁড়ায় ৭৯ হাজার ২১৫ টাকা।

অন্যদিকে ভ্যাট ও মজুরি ছাড়া বর্তমান মূল্য আছে ৭২ হাজার ৬৬৬ টাকা।

ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, সোনা বিক্রি সময় আমরা ৫ শতাংশ ভ্যাট ও ক্ষেত্রবিশেষ মজুরিসহ বা মজুরি ছাড়া বিক্রি করি। কিন্তু হঠাৎ ভ্যাট যোগ করলে টাকার অঙ্কটি দৃশ্যত বেড়ে যায়। এ অবস্থায় বিদ্যমান ভ্যাট আইনের আলোকে সোনার মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে বা আগের মতো শুধু সোনার মূল্য নির্ধারণ করা উচিত হবে কিনা এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে এনবিআরের মতামত চায় বাজুস।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর