বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন

খুলনায় সমিতির কার্যালয় ঘেরাও সভাপতি-সম্পাদকের পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

সোনার গহনা তৈরিতে মজুরির পার্থক্য, সমিতির ভুল সিদ্ধান্তে ব্যবসায়িক ক্ষতি, নিবন্ধনহীন ব্যবসায় প্রতারণাসহ নানা কারণে খুলনায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। গতকাল সকালে নগরীর হেলাতলা রোডে সাধারণ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে জুয়েলারি সমিতির কার্যালয় ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে উত্যপ্ত পরিস্থিতিতে জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি শ্যামা প্রসাদ কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক শংকর কর্মকার পদত্যাগে বাধ্য হন। একই সঙ্গে সভাপতির মালিকানাধীন নগরীর হেলাতলা ও নিউমার্কেট এলাকায় দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘শ্যামা জুয়েলার্স’ একদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির নির্দেশনায় খুলনা নগরী ও জেলার সব সোনার দোকান বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু ওই সময় নিবন্ধনহীন অধিকাংশ সোনার দোকান খোলা থাকায় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তায় পদক্ষেপ না নেওয়া ও সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গহনা তৈরির নির্ধারিত মজুরি থাকলেও সভাপতির প্রতিষ্ঠানেই তা না মেনে ব্যবসা করায় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সমিতির সহ-সভাপতি মাহাবুবার রহমান পিলু জানান, তদারকি না থাকায় অবৈধ ব্যবসায়ী নিজেরাই সোনার গহনায় ২১ ও ২২  ক্যারেট সিল দিয়ে বিক্রি করছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া সোনার মান যাচাইয়ে ‘গোল্ড টেস্টিং মেশিন না থাকা’ অবৈধ  দোকানদারদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়ে সমিতির কার্যালয় ঘেরাও করা হয়। পরে ক্ষোভের মুখে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগ করেন। জানা যায়, খুলনা নগরীতে নিবন্ধিত সোনা ব্যবসায়ী রয়েছেন ১৩৭ জন। এর বাইরে হেলাতলা, নিউমার্কেট, দৌলতপুর, খালিশপুরসহ বিভিন্œ উপজেলায় শতাধিক নিবন্ধনহীন সোনার দোকানদার রয়েছেন। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি সমিতির পক্ষ থেকে কার্যকরী পরিষদের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক শংকর কর্মকার জানান, সমিতির সদস্যদের দাবি পূরণ না হওয়ায় এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

কার্যকরী পরিষদের বৈঠকে পরবর্তী নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর