শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আজ ফিরছেন সেনাপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ফিরছেন সেনাপ্রধান

যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান নির্ধারিত সফরসূচি অনুযায়ী জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল প্রতিশ্রুতি ও অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। দুই সপ্তাহের সরকারি সফর শেষে সেনাপ্রধান আজ দেশে ফিরছেন।  আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, সোমবার বিকালে জাতিসংঘের অপারেশন সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠককালে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পরিবহনে বাংলাদেশ বিমানকে তালিকাভুক্ত করায় তাকে ধন্যবাদ জানান।

জেনারেল অতুল খারে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ বিমান সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পরিবহনে ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং শান্তিরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নসহ মানবাধিকার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করেন। আলোচনায় বিভিন্ন জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের জনবল আরও বৃদ্ধি, আহত এবং নিহত শান্তিরক্ষীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ত্বরান্বিতকরণ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনিষ্পাদিত রিইমবার্সমেন্ট পরিশোধ, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের করোনা টিকা প্রয়োগের ব্যবস্থাকরণ, অধিক হারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নির্ধারিত সময়ের পূর্বে প্রতিস্থাপনসহ সেনাবাহিনীর একটি  হেলিকপ্টার ইফনিট প্রেরণ সংক্রান্ত বিষয়াদি প্রাধান্য পায়।

মঙ্গলবার সেনাপ্রধানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীগণের পেশাগত জ্ঞান, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্য পিয়েরে ল্যাক্রুয়া। তিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান ও প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করে সরকারকে ধন্যবাদ জানান। ল্যাক্রুয়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের মহিলা শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মহিলা শান্তিরক্ষীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন। তিনি আরও বেশি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েনের বিষয়েও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। জেনারেল আজিজ ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস্ পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেমের আওতায় মাত্র ৬০ দিন সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪টি কন্টিনজেন্টসহ ১৫টি কন্টিনজেন্ট  মোতায়েন হতে সক্ষম বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেন এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিজিয়ন ও সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এ ছাড়াও শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ও জাতিসংঘ সদর দফতরের শান্তিরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিক সংখ্যক বাংলাদেশি অফিসারদের পদায়নের জন্যও তিনি অনুরোধ জানান। একই দিনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মিলিটারি অ্যাডভাইজার  লেফটেন্যান্ট জেনারেল কার্লোস হামবার্টো লয়টের সঙ্গেও সেনাপ্রধান আলোচনা করেন।

জেনারেল আজিজ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পৌঁছলে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা  সেনাপ্রধানকে অভ্যর্থনা জানান। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ জাতিসংঘে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরায় রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান জেনারেল আজিজ।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আমন্ত্রণে সরকারি সফরে সেনাবাহিনী প্রধান গত ২৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র যান। তিনি আজ দেশে ফিরবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর