সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

খুলনায় সড়কে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু পিছু ছাড়ছে না। গতিসীমা না মানা, বিপজ্জনক বাঁক ও অসচেতনতায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। সর্বশেষ ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে খুলনার ডুমুরিয়ায় বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। একই রাতে রূপসা আউটার বাইপাসে ট্রাকের ধাক্কায় অজ্ঞাত আরেক যুবকের মৃত্যু হয়। এদিকে, খুলনা সড়ক বিভাগের মধ্যে খুলনা-সাতক্ষীরা ও খুলনা-যশোর মহাসড়কের বিপজ্জনক স্থানগুলো চিহ্নিত করে গতি নিরোধক তৈরির কাজ শুরু করেছে। একই সঙ্গে বিপজ্জনক বাঁক প্রশস্তকরণে সংস্কার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্থানে ৩০০-৪০০ মিটার সড়ক প্রশস্ত করতে ডিভাইডারসহ ফোর লেনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, গত দেড় মাসে খুলনায় ছোট-বড় শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আঞ্চলিক মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংস্কার কাজে কয়েকটি পয়েন্টে চলাচলের জায়গা কমিয়ে আনা হয়েছে। এসব স্থানে দ্রুতগতির যানবাহনের পাশাপাশি কম গতির ইজিবাইক মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন চলার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা নগর শাখার সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব জানান, ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতি না থাকা মোটরযান মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না। এমন বিধিমালা থাকলেও এসব দেখার ক্ষেত্রে পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, বেশিরভাগ দুর্ঘটনা হয়েছে চালকের বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক স্থানগুলোতে ওভারটেক ও সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত সাইড রোড বা পকেট রোডের কারণে। এসব পকেট রোড দিয়ে ছোট-বড় যানবাহন যখন মহাসড়কে আসে, তখন গতি নিয়ন্ত্রণের অভাবে দুর্ঘটনা ঘটে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ডুমুরিয়ার কাঁঠালতলা, বানিয়াখালী মোড়সহ বিপজ্জনক বাঁকে সতর্কীকরণ সাংকেতিক চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিপজ্জনক মোড় প্রশস্তকরণ করা হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, বানিয়াখালীতে ৩০০-৪০০ মিটার সড়ক প্রশস্ত করতে ডিভাইডারসহ ফোর লেনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের প্রতিটি বাঁক সংস্কারে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। বরাদ্দ পেলে পর্যাক্রমে সবগুলো বাঁক সংস্কার করা হবে।  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর