সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনসহ সব প্রয়োজনে পাশে পুলিশ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনসহ সব প্রয়োজনে পাশে পুলিশ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনসহ সব প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। এখন পুলিশের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। তাই অপরাধ করে কেউ আর পার পায় না। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে পুলিশ বাহিনী অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। শনিবার রাতে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে, গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদর দফতরে বাহিনীর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে সত্যিকার ‘গার্ডিয়ান অব সি’ হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ জন্য পর্যায়ক্রমে আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র, ভ্যাসেল ও এয়ার উইং সংযোজন করা হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে নিজস্ব জনবল নিয়োগের মাধ্যমে কোস্টগার্ডকে স্বতন্ত্র বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

ডিএমপির অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের মার্চে যখন কভিডের শুরু হয়, তখন আমরা জানতাম না কীভাবে এই করোনাকে মোকাবিলা করতে হবে। তখন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে আসছিলাম। অথচ সারা বিশ্ব যখন করোনা মোকাবিলায় ব্যতিব্যস্ত, তখন বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। কভিডের আক্রমণ যখন শুরু হলো, মানুষ মারা যেতে শুরু করল, তখন আমরা দেখলাম ভিন্ন পুলিশকে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পুলিশ বাহিনীর স্বপ্ন দেখেছিলেন পুলিশ আজ সে অবস্থায় পৌঁছে গেছে। জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনের (৯৯৯) মাধ্যমে পুলিশের যুগান্তকারী সফলতা এসেছে। ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার এবং ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারসহ নানা ইউনিটের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। করোনার সময় জানাজা ও লাশ দাফন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।

কোস্টগার্ডের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কোস্টগার্ডে চার হাজার সদস্য দায়িত্বপালন করছেন। কোস্টগার্ডে নিজস্ব জনবল নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি শুরু হলে কোস্টগার্ডের নিজস্ব সদস্য থাকবে, যারা স্থায়ীভাবে বাহিনীতে থেকে সেবা দিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি পটুয়াখালীতে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বাহিনীটিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই যুক্ত হবে অত্যাধুনিক অফশোর প্যাট্রল ভ্যাসেল (ওপিভি), হোভারক্রাফ্ট ও অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন জলযান। প্রয়োজনে সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে আধুনিকায়ন করা হবে।

মাদক চোরাচালান রোধে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় বিজিবির টহল নিশ্চিতে সীমান্ত সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। বিজিবি নজরদারি বাড়াতে হেলিকপ্টার যুক্ত করা হয়েছে। কোস্টগার্ডও উপকূলীয় এলাকায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত করছে। ফলে মাদক নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। কোস্টগার্ডের বিভিন্ন বেইজ, স্টেশন ও আউটপোস্টে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এ বাহিনীর পরিপূর্ণ বিকাশ সুনিশ্চিত করা হবে। কোস্টগার্ড দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সমুদ্র বাণিজ্য ও উপকূলীয় জনগণের নিরাপত্তা বিধানে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকার বদ্ধপরিকর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর