খুলনার বাস্তুহারা সিটি বাইপাস সড়ক ও সোনাডাঙ্গা বাসটার্মিনাল সংযোগ সড়ক নগরবাসীর গলার কাঁটা। সড়ক দুটি নির্মাণের দুই বছরের মধ্যেই কার্পেটিং ও খোয়া উঠে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পুনর্নির্মাণে অনেক টাকা প্রয়োজন হওয়ায় মেরামতে আগ্রহী হচ্ছে না কোনো প্রতিষ্ঠান। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোস্তফা সারওয়ার বলেন, ‘দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) সড়ক দুটি নির্মাণ করলেও তা সংস্কার করতে বলছে খুলনা সিটি করপোরেশনকে। আবার সড়কে নিম্নমানের কাজ ও নিউমার্কেট-বাসস্ট্যান্ডসহ লাভজনক অবকাঠামো কেডিএ হস্তান্তর না করায় সড়ক মেরামতে আগ্রহী হচ্ছে না কেসিসি। দুই প্রতিষ্ঠানের টানাটানিতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।’ এদিকে অপরিকল্পিত উন্নয়নে ভোগান্তির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে নাগরিক সংগঠন ‘বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি’। গতকাল সকালে কেডিএ’র সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনটি। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্যকালে নাগরিক নেতা অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বলেন, নগর উন্নয়নের বড় ভূমিকা পালন করে কেসিসি, কেডিএ, ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিভাগ। কিন্তু দুর্ভাগ্য এ চারটি সংস্থার কারও সঙ্গে কারও কোনো সমন্বয় নেই। ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ির পর রাস্তা সংস্কারের কিছুদিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ আবার খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে সমন্বয়ক কমিটি ও পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, এখনই যদি পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলা না যায়, তাহলে পদ্মা সেতু নির্মাণের সুফল ভোগ করতে পারবে না এখানকার মানুষ।
প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতিতে শিপইয়ার্ড বাইপাস সড়কের নির্মাণ ব্যয় তিনগুণ বেড়েছে উল্লেখ করে কেসিসির প্যানেল মেয়র মো. আলী আকবর জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতায় ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। আধুনিক শহর গড়ে তুলতে অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।