বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতু ঘিরে দেশের আগামী দিনের উন্নয়ন আবর্তিত হবে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা সেতু ঘিরে দেশের আগামী দিনের উন্নয়ন আবর্তিত হবে : কাদের

২০২২ সালের জুনের মধ্যে সম্পূর্ণ অবকাঠামোর কাজ শেষ করে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শতকরা ৯২ ভাগ এবং পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৪ ভাগ শেষ হয়েছে। গতকাল সকালে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর সর্বশেষ অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা নদীর শাসন কাজ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বিশ্বের দুটি আনপ্রেডিক্টেবল রিভারের মধ্যে অ্যামাজনের পরেই রয়েছে পদ্মা। এ নদীর জলপ্রবাহের গতি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। এ কঠিন চ্যালেঞ্জ আমরা অতিক্রম করছি মহান স্রষ্টার রহমত এবং প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে নদীর এপার থেকে ওপারে নেওয়া হচ্ছে গ্যাস পাইপ লাইন এবং অপটিক্যাল ফাইবার। এ ছাড়া সেতুর পাশেই নির্মাণ করা হচ্ছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। ৩৮৩ ফুট গভীরে পাইলিং করা হয়েছে, যা এক্ষেত্রে একটি রেকর্ড। তিনি আরও বলেন, এরই মাঝে নদী শাসন কাজের অগ্রগতি হয়েছে শতকরা ৭৯ ভাগ। ডাবল-ডেকার এই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন এবং নিচ তলা দিয়ে ট্রেন চলাচলের পথ তৈরি করা হচ্ছে। স্থাপন করা হচ্ছে রোড এবং রেলওয়ে স্ল্যাব। এরই মাঝে যানবাহন চলাচলের জন্য ৭২ ফুট প্রশস্ত চার লেনের সড়কপথ তৈরির কাজ ৬১ ভাগ এবং রেলপথ তৈরির কাজ ৭৮ ভাগ শেষ হয়েছে।

আগামীর চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার দুটি চ্যালেঞ্জ আছে, প্রথমটি হচ্ছে সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। দ্বিতীয়ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের পথযাত্রায় ভিশন-২০২১, ২০৪১ ও ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে উপযুক্ত শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগকে সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত করা। নিজের স্বপ্ন প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমার নতুন কোনো স্বপ্ন নেই। স্বপ্ন সব মিশিয়ে দিয়েছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নের সঙ্গে।

করোনার কারণে দীর্ঘদিন পর সেতুর কাজ পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি এর আগে এই সেতু প্রকল্পে ১৬৯ বারের মতো এসেছি কাজ দেখার জন্য। এই পদ্মা সেতুর সাইটই ছিল আমার সেকেন্ড হোম। এখানে আমি প্রায়ই আসতাম এবং কাজ কর্মের খোঁজখবর নিতাম। প্রতিটি বিষয় আমি আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করতাম। এ সময় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর