করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৬ জন খামারিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকা নগদ প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ প্রণোদনা প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান অনুষ্ঠানে খামারিদের নগদ, বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রণোদনার অর্থ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে প্রণোদনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শ¤ভু অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন। স্বাগত বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি খাতে উন্নয়ন হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিগত তিন মেয়াদে কৃষির সবক্ষেত্রেই উৎপাদন বেড়েছে। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো পুষ্টি জাতীয় খাবারের নিশ্চয়তা দেওয়া। এ লক্ষ্যেই এ খাতে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামল বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণালি অধ্যায়।
তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সব দুর্যোগ মোকাবিলা করে দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য শেখ হাসিনা অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাঁরই নির্দেশনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫ লাখ খামারিকে তাদের মোবাইল নম্বরে আমরা নগদ প্রণোদনা পৌঁছে দিয়েছি। আরও ২ লাখ খামারিকে প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের দেশের মূল শক্তি জনগণের পরিশ্রম। তাদের উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা বারবার পরীক্ষিত। এজন্য করোনা আমাদের তুলনামূলকভাবে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি। করোনার মধ্যেও আমরা প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি।
