বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বেশির ভাগ নারী উদ্যোক্তা ব্যবসা হারিয়েছেন

সেমিনারে বিডব্লিউসিসিআই সভাপতি সেলিমা আহমাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মহামারীর প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের সুরক্ষায় ১১ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্র্রি-বিডব্লিউসিসিআই। সংগঠনটির সভাপতি সেলিমা আহমাদ এমপি বলেছেন, বেশির ভাগ নারী উদ্যোক্তা ব্যবসা হারিয়েছেন।

ব্যবসা ছোট হয়েছে। শ্রমিক ছাঁটাই, নিজস্ব ডিপোজিট এবং সম্পদ ও মেশিনপত্র বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। নারী উদ্যোক্তারা পারিবারিক সহিংসতা, মানসিক চাপ এবং ঋণ পরিশোধের চাপের মধ্য দিয়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মানসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। গতকাল বিডব্লিউসিসিআই আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে এ সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি সেলিমা আহমাদ। ‘বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের ওপর কভিড-১৯ এর প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন বিডব্লিউসিসিআই-এর সিনিয়র সহসভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, কাটর্স ইন্টারন্যাশনালের ফেলো ড. ভিনা ভিদাধরন প্রমুখ।

বিডব্লিউসিসিআই সুপারিশে বলেছে- এক. সরকার দাতা সংস্থা কর্তৃক নারী উদ্যোক্তাদের কভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পুনরায় ব্যবসা শুরু করার জন্য কার্যকরী মূলধনের ব্যবস্থা করা। দুই. তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ নিশ্চিত করার জন্য প্রণোদনা প্যাকেজে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। তিন. প্রণোদনা প্যাকেজটি দ্রুত বিতরণ নিশ্চিত করা এবং প্রণোদনা ঋণের কিস্তি প্রদানের সময় এক বছর নির্দিষ্ট না করে  সময়সীমা বৃদ্ধি করা।

 চার অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নারী উদ্যোক্তাদের আইসিটি, ই-কমার্স, ডিজিটাল ব্যাংকিং, ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পাঁচ.  নারী  উদ্যোক্তাদের পণ্য উৎপাদনের কাঁচামালে ভর্তুকি প্রদান। ছয়. নতুন ট্রেড লাইসেন্স প্রস্তুত করা ও পুরনো ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি হ্রাস করা। সাত. বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সব ব্যাংক এবং তাদের শাখাগুলোতে তথ্য, বিজ্ঞপ্তি, নীতিমালা, প্যাকেজসহ যাবতীয় তথ্য প্রচার, নিশ্চিতকরণ যেন নারী উদ্যোক্তারা আবেদন করার ৭-১০ দিনের মধ্যে তাদের আবেদনের ফলাফল জানতে পারেন এবং কোনোভাবেই যেন তাদের দীর্ঘদিন ঘোরানো না হয়। আট. সর্বস্তরে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার মাধ্যমে প্রণোদনা প্যাকেজটি তৃণমূল পর্যায়ে কভিড-১৯-এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ নিশ্চিত করা। নয়. অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ও ঋণের ব্যবস্থা করা। দশ.  বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব সহকারে প্রাধান্য দেওয়া। এগারো. কভিড-১৯ ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণের জন্য প্রয়োজনীয় এবং যুক্তিযুক্ত প্রয়োগ উপযোগী নীতিমালা নিশ্চিত করা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর