শিরোনাম
শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ খুলনার মানুষ

দমনে কাজে লাগছে না পুরনো পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত সবখানেই মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ খুলনার মানুষ। ঘরোয়াভাবে মশা তাড়ানোর ফর্মুলা কাজে আসছে না। রাতে মশারি টানানোর পরও কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। দিনের বেলায়ও মশা পিছু ছাড়ছে না। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, মশা ক্রমে কীটনাশক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। কীটনাশকের ভুল প্রয়োগে মশা বাঁচার জন্য দেহব্যবস্থার অভিযোজনে প্রতিরোধী জিন কাজে লাগায়। এ ক্ষেত্রে মশক নিধনে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে নতুন কিছু ভাবতে হবে সিটি করপোরেশনকে। খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আবদুল আজিজ বলেন, ‘আগে দুই মাস পরপর ক্রাশ প্রোগ্রাম হতো, ফগার মেশিন ছিল ৩৫টা। এখন আরও ১৩টা মেশিন কেনা হয়েছে। এসব মেশিন দিয়ে সারা বছর ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানো হচ্ছে। ওষুধ ছিটানোর কাজে কর্মরত ৩৫ জনের সঙ্গে আরও ২০ জনকে কাজে লাগানো হয়েছে। কালো তেল, লার্ভিসাইড দেওয়ার জন্য ৭০টি স্প্রে মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এক কথায় মশক নিধনে তিনগুণ সক্ষমতা কাজে লাগানো হচ্ছে। তারপরও মশার উপদ্রুব কিছুটা বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তন ও প্রজনন মৌসুমে মশা বেশি জন্মাচ্ছে।’ এদিকে কীটতত্ত্ববিদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিমুল দাস বলেন, অনেক সময় কীটনাশকের ভুল প্রয়োগেই মশা প্রতিরোধী হয়। অতিরিক্ত প্রতিকূল পরিবেশে মশা বাঁচার জন্য দেহব্যবস্থার অভিযোজন করতে ‘স্বতঃস্ফূর্ত পরিবর্তন’ বা প্রতিরোধী জিনকে কাজে লাগায়। তখন প্রচলিত পদ্ধতিতে কীটনাশক দিয়ে এদের ধ্বংস করা যায় না। তিনি বলেন, এমন সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে যা মানুষের কানে লাগবে না কিন্তু মশা মারা যাবে। আবার বংশ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পুরুষ মশার প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করার মতো আধুনিক পদ্ধতি নিয়ে এখনই ভাবতে হবে। তবে কেসিসির সহকারী কনজারভেন্সি অফিসার নুরুন্নাহার এ্যানি বলেন ড্রেনগুলোতে ময়লা ফেলার কারণে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন বাসাবাড়ির সেফটি ট্যাংকের আউটলেট ড্রেনে দেওয়া। নোংরা, আবদ্ধ পানিতে মশার প্রজনন বাড়ছে। এতে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেছে। তিনি মশার বংশ বিস্তার রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে জোর দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর