ঘটনার দুই বছর পরও গতকাল পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভিড় করেছেন স্বজনহারা পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তারা চিরদিনের জন্য হারানো স্বজনদের নিয়ে নানা স্মৃতিচারণ করেন। এদিন রাতে চুড়িহাট্টায় কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে। এতে অন্তত ৭১ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল বেলা ১১টায় চুড়িহাট্টায় গিয়ে অগ্নিকান্ডে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিম। এ সময় তার ছেলে সোলায়মান সেলিম তার সঙ্গে ছিলেন। স্বজনহারাদের মধ্যে ছিলেন তারামনিও। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে তিনি তার দুই ছেলে অপু ও আলীকে হারান। তার বয়স এখন ৬০ বছরের বেশি। পুড়ে যাওয়া সেই ওয়াহিদ ভবনের সামনে তারামনি বলেন, ‘এই দুইটা ছেলেই আমাকে দেখে রাখত। ওরা চলে যাওয়ায় আজ আমি দিশাহারা। ছেলের বউরা আমার খোঁজ রাখে না। চিকিৎসা বাবদ যে খরচ হয়, তা জোগাতে পারি না। আজ যে সহযোগিতা করা হলো, তা ছেলের বউরা পেল। আমি কী করব ভেবে পাচ্ছি না।’ তার মতো অগ্নিকান্ডে নিহত ব্যক্তির পরিবারের অন্য সদস্যরাও ঘটনাস্থলে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানান। কয়েকজন অভিযোগ করেন, অগ্নিকান্ডের সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটির তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন ক্ষতিগ্রস্তদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।