বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সিলেটবাসী

►ওষুধে কোনো কাজ হচ্ছে না ►সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যস্ত সিটি করপোরেশন

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সিলেটবাসী

উন্নয়ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত সিলেট সিটি করপোরেশন। চলছে রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। উন্নয়ন কাজ নিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের যতটুকু ব্যস্ততা, সে রকম খেয়াল নেই নাগরিক বিড়ম্বনা নিরসনে। ফলে মশার যন্ত্রণায় নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও সেদিকে খুব একটা নজর নেই জনপ্রতিনিধিদের। ভুক্তভোগী নগরবাসীর অভিযোগ, এ বছর শীত মৌসুমে নগরীতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ মশার ওষুধ ছিটানো হয়নি। নালা-নর্দমাগুলো পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। মাঝে-মধ্যে কোনো কোনো এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হলেও মশা মরছে না। তবে নগরভবন কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ব্যস্ততার জন্য মশার ওষুধ ছিটানো কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুনরায় পুরোদমে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে একযোগে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করে সিটি করপোরেশন। মশার প্রজনন প্রতিরোধ করতে নগরীর ভিতরের নালা-নর্দমা ও ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু এ বছর মশক নিধন কার্যক্রম চলছে শম্বুক গতিতে। একসঙ্গে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করতে না পারায় মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না নগরবাসী। এ ছাড়া নালা-নর্দমা পরিষ্কার না করায় মশার বংশবিস্তারও রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। নগরবাসীর অভিযোগ, সন্ধ্যা হলেই বাসার দরজা-জানালা বন্ধ করেও মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তারা। মশা তাড়াতে ঘরে কয়েল জ¦ালাতে বা মশার ওষুধ ¯ন্ডেপ্র করতে হচ্ছে। বিশেষ করে মশার যন্ত্রণায় বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। অনেক বাসার শিক্ষার্থীকে মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারির নিচে বিছানায় বসে পড়তেও দেখা গেছে। মাঝে-মধ্যে কোনো কোনো এলাকায় মশক নিধনে ওষুধ ছিটানো হলেও মরছে না মশা- এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে নগরবাসীর কাছ থেকে। তাদের অভিযোগ, ওষুধের সঙ্গে বেশি পরিমাণ পানি মেশানোর কারণে মশা মরছে না। এ ছাড়া অনেক সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ছিটানোর কারণেও মশা মরছে না। সিলেট নগরীর ঘাসিটুলা এলাকার শিক্ষিকা শাহিদা জামান জানান, মশার ভয়ে সন্ধ্যার আগেই তিনি বাসার দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখেন। এরপরও মশা থেকে রেহাই মিলছে না। প্রতি বছর সিটি করপোরেশন থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হলেও এ বছর তাদের এলাকায় মশক নিধনে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সিটি করপোরেশন। নগরীর উত্তর কাজিটুলার মিফতাহ উদ্দীন আহমদ জানান, তাদের  এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়েছিল। কিন্তু ওষুধ ছিটানোর পরও মশা মরেনি। সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রমে ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় মশক নিধনে কিছুটা ধীরগতি দেখা দেয়। আগামী রবিবার থেকে আবারও পুরোদমে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হবে। একসঙ্গে ৪-৫টি ওয়ার্ডে মশা মারার ওষুধ ছিটানো হবে। পুরো নগরীতে ওষুধ ছিটানো শেষ হলে নগরবাসী মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর