‘সরকার পুলিশকে অস্ত্র দিয়েছে লাঠি হিসেবে ব্যবহারের জন্য নয়। অস্ত্র দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসীরা গুলি করলে সেটা প্রতিহত করতে। প্রয়োজনের নিরিখে জীবন রক্ষার জন্যই  অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।’ গতকাল রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের (সিপিএইচ) নবনির্মিত ছয়তলা বিশিষ্ট জরুরি বিভাগ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। ‘প্রায় পাঁচ মাস পর গত মঙ্গলবার কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে’ এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধ হলে কি আমাদের লোকজন বন্দুক ফেলে পালিয়ে চলে আসবে? জকির ডাকাত, ভয়াবহ ডাকাত। গত তিন বছরে তার কাছ থেকে কমপক্ষে দেড় শ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পরেও তার কাছ থেকে ৯টা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

যখন এ ধরনের কোনো বিপজ্জনক আর্মস গ্যাং গুলি করবে, তখন কি আমরা শহীদ হয়ে চলে আসব? যেখানে আর্মস গ্যাং আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করবে সেখানে আমরা প্রয়োজনের নিরিখে জীবন রক্ষার জন্য সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করব। এখানে ঘোষণা দিয়ে বন্দুকযুদ্ধ চালু করা বা বন্ধ করার কোনো বিষয় নেই।’ এর আগে সিপিএইচ’র নবনির্মিত ভবন প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, গত বছরে মার্চে মহামারী করোনার আবির্ভাব ঘটে, আর এতে সবচেয়ে বড় ক্যাজুয়ালিটি হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের। করোনায় প্রায় ৮৩ জন সদস্য শাহাদাতবরণ করেছেন, সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে ২১ হাজার সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল একটি জেনারেল হাসপাতাল ছিল, কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে আমরা এটিকে দ্রুত কভিড হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তর করি।