সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি

খুলনায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় বালুবাহী নৌযানের (বাল্কহেড) চার শ্রমিক হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদন্ড ও নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নয়জনের প্রত্যেককে আরও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেয়। এ ছাড়া একটি ধারায় ১১ জনকে ১০ বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দেয় আদালত। হত্যাকান্ডের এক যুগ পর গতকাল রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১১ আসামির মধ্যে সাতজন আদালতে উপস্থিত থাকলেও চারজন পলাতক আছেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু ফিটার (৫০) ও মহিউদ্দিন ওরফে মহী ফিটার (৪৮)। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চান মিয়া, দুলাল মিয়া, মজিবর, আবদুল মান্নান, আরিফ ও পলাতক জলিল, সাইফুল ইসলাম, দুলাল ও শফিকুল। এ মামলার ইব্রাহিম নামে আরও এক আসামি মারা যায়। নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা জানান, খুলনার কয়রায় ওষুধ বিক্রেতা শেখ আকবর আলী (৭০) হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এংকই সঙ্গে সব আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। শেখ আকবর আলী কয়রার নাকশা গ্রামের বাসিন্দা। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। দন্ড পাওয়া আসামিরা হচ্ছেন শেখ নুরুর রহমান জেবা, মতিয়ার রহমান, সাজিদুর রহমান বাকু, মোশাররফ হোসেন ও মামুন গাজী। এদের বাড়ি কয়রার নাকশা এলাকায়।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই ভোর রাতে এ হত্যাকান্ড ঘটে।

পুলিশ জানায়, ঘটনার রাতে দোকানের ভেতরে ঢুকে আসামিরা আকবর আলী শেখকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রবিউল ইসলাম ছয়জনকে আসামি করে ২৬ জুলাই কয়রা থানায় মামলা করেন। মামলা নং-১৯।

তদন্ত কর্মকর্তা কয়রা থানার উপপরিদর্শক সুবির দত্ত ২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলা চলাকালীন আসামি কামরুল ইসলাম মারা গেলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর