ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়ায় বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের মালিকানাধীন ‘ইনোভেটিভ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ইতিহাসে আরেকটি অধ্যায়ের সংযোজন ঘটল যুক্তরাষ্ট্রের এই ইনোভেটিভ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি চালুর মধ্য দিয়ে। বহুজাতিক এ সমাজে প্রবাসীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথেই শুধু নয়, বাংলাদেশের উদ্যমী এবং মেধাবীদের দক্ষ হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানের যে পাঠক্রম-তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উচ্চ বেতনে চাকরির পথ সুগম করবে। শনিবার ভার্সিটি মিলনায়তনে  এ অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম। সামিট গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদ খান, ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার। ভিডিওতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ড. সাজ্জাদ হোসেন, জর্জিয়া স্টেট সিনেটর শেখ রহমান এবং প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা ড. নীনা আহমেদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন তার দীর্ঘ বক্তব্যে বলেন, বাঙালিরা খুবই সৌভাগ্যবান এজন্য যে, শেখ হাসিনার মতো একজন নেতা পেয়েছি আমরা। তার দূরদর্শিতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের মডেল। আমি আরেকটি সুখবর দিতে চাই যে, গতকালই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করেছে। এটিও শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণেই সম্ভব হয়েছে।

ইউনিভার্সিটি পরিচালনা পর্ষদের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ফারহানা হানিপ বলেন, গত দেড় দশকেরও অধিক সময়ে ‘পিপলএন টেকের মাধ্যমে আমরা সংক্ষিপ্ত কোর্স দিয়ে মার্কিন আইটি সেক্টরে ৭ হাজারের অধিক প্রবাসীকে উচ্চ বেতনে চাকরির পথ সুগম করেছি। সে অভিজ্ঞতায় আইটি, হেলথ, হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবসা-প্রশাসনে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সের সঙ্গেই কারিগরি শিক্ষা দেওয়া হবে। সেটিই হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব।

রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও যাতে এই প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে ভালো বেতনে চাকরি পান, সে জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।