শিরোনাম
বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ওয়েবিনার

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘আদর্শিকভাবে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত অবিচল। কিন্তু দেশের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বাস্তববাদী। তিনি সার্বজনীন মূল্যবোধ ও নীতির ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি।’ সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলেতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ‘সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ’ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন। এতে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক ও লেখক সলীল ত্রিপাঠি, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনিয়র কূটনীতিক থমাস এ ডাইন এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। প্যানেল আলোচনা পর্বের সঞ্চালক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ইনস্টিটিউট ফর সাউথ এশিয়া স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. সঞ্চিতা বি. সাক্সেনা। উদ্বোধনী বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি ও আদর্শ যা ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তাঁর প্রথম বাংলায় ভাষণে প্রতিভাত হয়েছিল, তা অনুসরণ করেই বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। লেখক ও সাংবাদিক সলীল ত্রিপাঠি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয়তাবাদ’ এর প্রবক্তা যার শিকড় নিহিত ছিল ১৯৫২ সালের    ভাষা আন্দোলনে। জাতির পিতার এই ধারণা আজকের পৃথিবীতে বড়ই প্রাসঙ্গিক। কূটনীতিক থমাস এ ডাইন একাত্তরে মুত্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন প্রশাসনের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রসঙ্গ টেনে স্বাধীনতার ৫০ বছরে উন্নয়ন ও অগ্রগতির উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ সেসময়ের মার্কিন নেতৃত্বকে ভুল প্রমাণ করার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। বঙ্গবন্ধু কীভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছিলেন তা বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে উল্লেখ করেন প্রফেসর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর