বেসিক ব্যাংকের মামলার তদন্ত কি অনন্তকাল চলবে, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট। আদালত বলেছে, বাস্তবতা হচ্ছে ৫ বছরেও চার্জশিট দিতে পারেনি দুদক। সেই সঙ্গে বেসিক ব্যাংকের মামলায় ফলো দ্য মানি অনুসরণের নীতি বাস্তবতা বিবর্জিত। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অনেক মামলায় চার্জশিট হয়েছে। অনেকের সাজা হয়েছে। কিন্তু সেসব মামলায় ফলো দ্য মানি নীতি অনুসরণ করতে দুদককে দেখা যায়নি। পরে বেসিক ব্যাংকের এক মামলায় শান্তিনগর শাখার সাবেক ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে জামিন দেয় আদালত। আদালতে দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান, আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার শুনানি করেন। খুরশীদ আলম খান জানান, শান্তিনগর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে করা ১৩টি মামলার ১টিতে জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। দুদকের করা ১৫টি মামলার সাতটিতে এফআইআরভুক্ত আসামি মুহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির ঘটনায় ৫৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংকের ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও হাই কোর্টকে জানানো হয়েছে।