বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

শিশুদের জন্য সুন্দর শান্তিময় আবাসস্থল গড়ে তুলতে হবে

-মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিশুদের জন্য সুন্দর শান্তিময় আবাসস্থল গড়ে তুলতে হবে

বাংলাদেশের শিশুদের জন্য ‘সুন্দর-শান্তিময়’ আবাসস্থল নির্মাণে সবাইকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শিশু-কিশোরদের একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে আমাদের শিশুদের জন্য কি সত্যিকার অর্থে একটা ভালোবাসার দেশ, একটা প্রেমের দেশ, একটা স্বপ্নের দেশ নির্মাণ করতে পেরেছি? তখন নিজের কাছে একটা ঘৃণা আসে, ধিক্কার আসে যে না আমরা সেটা করতে পারিনি। আমরা আমাদের শিশুদের জন্য সেই আবাসস্থল তৈরি করতে     পারিনি, যেখানে তারা নিরাপদে গড়ে উঠবে মানুষের মতো। সেখানে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসা, শান্তিময় একটা জগৎ তৈরি করা সম্ভব হবে। কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে জিয়া শিশু একাডেমির উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১১তম জাতীয় শিশু শিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলা কুঁড়ি-২০১৯’ এর পুরস্কার বিতরণী এর এই অনুষ্ঠান হয়।

 প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল নিজ হাতে শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এই শিশু প্রতিযোগিতার সারা দেশে ২২ হাজার খুদে শিল্পীরা বাছাই পর্বে অংশ নিয়ে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৭৬ জন।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিক্ষায় অধ্যক্ষ সেলিনা আখতার, স্বাস্থ্য সেবায় অধ্যাপক হাসিনা আফরোজ, সংগীতে এএসএম শফি মন্ডল, শিল্পায়নে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণে খান মনিরুল মনি, জনপ্রতিনিধি মনিরুল আলম সেন্টু ও আদর্শ মা মৌসুমি সাহাকে ‘কমলপদক-২০২০’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে খুদে শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে এবং মাশুক সিদ্দিকী ও নওশিন রথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একাডেমির পৃষ্ঠপোষক এলবার্ট পি কস্টা, কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম, জিনাত রেহানা, সামিনা আখতার সম্পা ও সুলতানা জামান জ্যোৎস্না বক্তব্য দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন আমরা আমাদের শিশুদের জন্য সত্যিকার অর্থেই একটা শান্তিময় নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলি। তাদের জন্য একটা জগৎ গড়ে তুলি। আসুন, বাংলাদেশটাকে সত্যিকার অর্থেই হাসি-গান আর ফুলের একটা দেশ বানিয়ে তুলি। এটাই হোক আমাদের লক্ষ্য। আমাদের অনেক বয়স হয়েছে। এই সময়ে করোনার মধ্যে আমাদের অনেক গুণী মানুষ চলেও গেছেন। আমরা দেখে যেতে চাই সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ শিশুদের জন্য সুন্দর, ন্যায়ভিত্তিক, সত্যভিত্তিক জগৎ আমরা তৈরি করতে পেরেছি, আনন্দময়-প্রেমময়। তোমাদের মধ্যেই আমাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাই।

তিনি বলেন, শিশুদের জন্য আবাসস্থল না করতে পারার দায় আমাদের। আমরা যারা এদেশ স্বাধীন করেছিলাম, লড়াই করে যুদ্ধ করে আমরা যারা কথা দিয়েছিলাম যে, এই দেশ একটা গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব, এই সমাজকে এই রাষ্ট্রকে আমরা সহনশীল, উদার একটি রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করব। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য পুরোপুরিভাবে সেটা আমরা করতে পারিনি। আমরা নিজেদের মধ্যে দলাদলি করেছি, কোন্দল করেছি, বিভক্ত হয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর