রাজধানীর ওয়ারী থানায় করা ৩০৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার মামলার নথি গায়েব হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার পেশকারসহ দুজনকে দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ আসামিদের রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আবু সাঈদ চৌধুরী আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন। রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পেশকার সামছুদ্দিন জুম্মন এবং সেরেস্তা সহকারী সেলিম উদ্দিন। জানা গেছে, ওয়ারী থানার হক্কার গলির ১১৪/১১৫ নম্বর বিসিসি রোড খাজা গরিবে নেওয়াজ ইলেকট্রিক মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে ৩০৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে এ ঘটনায় ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ওয়ারী থানার এসআই মঞ্জুরুল হাবিব বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মাদক মামলাটি বিভিন্ন আদালত ঘুরে বিচারের জন্য বদলি হয়ে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যায়। তখন নিয়মানুযায়ী ওই আদালতে বিশেষ দায়রা মামলা নম্বর হয়-২৫/২০১৩। পরে এ মামলার আসামি মোছা. খায়রুন্নেছা (৩৫), ইদ্রিস আলী ওরফে ইসহাক ও আমির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। এরপর থেকেই এ মামলার নথি আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এ ঘটনায় ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা অলিউল ইসলাম বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ১ মার্চ মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা সরকারি কর্মচারী হয়েও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে আইনের পরিপন্থী কার্য করার অপরাধ করেছেন।