বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম

সার্ভারে ত্রুটি জন্মনিবন্ধন পেতে ভোগান্তি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সার্ভারে ত্রুটি ও ধীরগতির কারণে জন্ম ও মৃত্যু সনদ পেতে চরম ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একই সঙ্গে জন্মনিবন্ধন সনদটি অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে সার্ভারের ত্রুটি বা ধীরগতি চলে এলেও এর সমাধান হয়নি। ফলে নানা কাজে নাগরিকদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে অভিভাবকদের। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কার্যালয় থেকে দেওয়া হলেও সার্ভারটি নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল শাখা। জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক। ডিসেম্বর-জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে নতুন ভর্তি, প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনসহ নানা ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন হয়। নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দৈনিক গড়ে ৪০-৫০ জন জন্মনিবন্ধন ও মৃত্যুসনদ নিতে আসেন। কিন্তু সার্ভার ত্রুটির কারণে ৪১টি ওয়ার্ডে সেবা কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে। ফলে এক দিনের সেবা পেতে লেগে যায় এক থেকে দুই সপ্তাহ। স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নতুন পদ্ধতিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করলেও সার্ভার নিয়ে ভোগান্তি এখনো শেষ হয়নি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী কমিশনার নুরহাজান আক্তার সাথী বলেন, ‘সার্ভারের ধীরগতির বিষয়টি জাতীয়ভাবে চলছে। দিনের বেলায় সবাই একসঙ্গে কাজ করায় গতি কমে যায়। তবে সন্ধ্যার পর গতি বাড়ে। সার্ভারের গতি বাড়ানোর ব্যাপারে আমরা ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করেছি। আশা করি সমাধান হয়ে যাবে।’ জানা যায়, দেশে প্রায় ১৬ কোটির বেশি মানুষের জন্মনিবন্ধন হয়েছে। বর্তমানে ১২ সিটি করপোরেশনের ১২৪টি আঞ্চলিক অফিস, ৩২৯টি পৌরসভা, ৪ হাজার ৫৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১৫টি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ও ৪৪টি দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৫৫টি দূতাবাস বা মিশনসহ ৫ হাজার ১০৭টি নিবন্ধক অফিসে সরাসরি ও নিয়মিত যোগাযোগ সমন্বয় করে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী দেশে ১৬টি সেবা পেতে জন্মসনদের দরকার হয়। এর মধ্যে আছে পাসপোর্ট তৈরি, বিবাহ নিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, চাকরিতে নিয়োগ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, আমদানি ও রপ্তানি লাইসেন্স প্রাপ্তি, গ্যাস-পানি-টেলিফোন-বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর প্রাপ্তি, ঠিকাদারি লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর