রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ

জাতিসংঘের সব দাফতরিক ভাষায় গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

ইউনেস্কো সদর দফতরে ৫ মার্চ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্যারিস ও ইউনেস্কোয় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন কর্তৃক প্রকাশিত ‘দ্য হিস্টোরিক সেভেনথ মার্চ স্পিচ অব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : এ ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, আরবি, রুশ ও চীনা ভাষাভাষী ১২ জন রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেস্কোয় স্থায়ী প্রতিনিধিরা গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এ ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই প্রথম বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ জাতিসংঘের সব দাফতরিক ভাষায় অনূদিত হলো। ইউনেস্কো সদর দফতরে কভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় শুধু আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় দূতাবাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রকাশিত এ গ্রন্থে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর বিশেষ বাণী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

 যৌথভাবে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন ইউনেস্কোয় অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, আইভোরি কোস্ট, সেনেগাল, স্পেন, কিউবা, সৌদি আরব, মৌরিতানিয়া, কুয়েত, রাশিয়া, চীন ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিরা। পরে তারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।

ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোয় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজী ইমতিয়াজ তার স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। এ ভাষণ দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিসংগ্রামে মূল অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তিনি যৌথভাবে এ গ্রন্থ উন্মোচনে অংশগ্রহণকারী সব দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ অনুবাদ এবং প্রকাশনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান কাজী ইমতিয়াজ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিরা তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব প্রদানে এবং বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করেন। এ গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনার জন্য ইউনেস্কোয় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা। এ বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দূতাবাস, প্যারিস ও ইউনেস্কোয় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদ্্যাপন উপলক্ষে গৃহীত তিন দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার এটি ছিল প্রথম দিন। আজ ৭ মার্চ দূতাবাসে এবং ৯ মার্চ ইউনেস্কোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দুটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর