সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

অনলাইনে শুল্ক-কর পরিশোধ বাধ্যতামূলক করেছে এনবিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২০২২ সালের প্রথম দিন থেকেই আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালানের বিপরীতে সবরকম শুল্ক-কর অনলাইন বা ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। এছাড়াও চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালানের বিপরীতে দুই লাখ টাকার বেশি শুল্ক-কর ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ বাধ্যতামূলক করেছে এনবিআর।

গতকাল এনবিআর সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, কমলাপুরের আইসিডি ও ঢাকা কাস্টম হাউসে ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে সব ধরনের বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে। এটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে। ওই বছরের জুলাই থেকে দেশের সব শুল্ক হাউস ও শুল্ক স্টেশনে ২ লাখ টাকার বেশি শুল্ক-কর হলে ই-পেমেন্ট করতে হবে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে শুল্ক-কর পরিশোধের সীমা থাকবে না। এর পাশাপাশি অন্যান্য মাশুলও ই-পেমেন্টের আওতায় চলে আসবে।

২০১৭ সালে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু তার কাক্সিক্ষত সুফল গত দুই বছরে মেলেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সবমিলিয়ে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকার রাজস্ব পাওয়া গেছে। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৪ হাজার ১১০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। বর্তমানে ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ই-পেমেন্ট ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে। ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ব্যাংক হিসাব থেকে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারিতে অর্থ পরিশোধ করা যায়। ফলে আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নির্বিঘ্নে দ্রুত রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। এতে আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক-কর পরিশোধে জালিয়াতির ঝুঁকি কমে যাবে। কিছু পণ্য রপ্তানিতেও শুল্ক দিতে হয়। আমদানিকারকরা ই-পেমেন্ট করলে দ্রুত রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। এতে জাল কাগজপত্র জমা দিয়ে রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতাও কমে যাবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর