সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

তারাও আজ ৭ মার্চ পালন করছেন

-তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তারাও আজ ৭ মার্চ পালন করছেন

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। পঁচাত্তরের পর ২১ বছর সেই ভাষণ চালাতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু যারা এই ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিল, তারাও আজ ৭ মার্চ পালন করছে। জানি না তারা মনে কোনো দুরভিসন্ধি নিয়ে ৭ মার্চ পালন করছে কিনা। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : বাঙালির মুক্তির সড়ক’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন সাহা।

 অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক সিটি এডিটর অজিত কুমার সরকার। এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ক্লাব সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বহু কালজয়ী ভাষণ আছে। নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং, আব্রাহাম লিংকন, নেতাজি সুভাসচন্দ্র বসুসহ অনেকের কালজয়ী ভাষণ আছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এসব কালজয়ী ভাষণ থেকেও অনন্য। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত ছিল না। বঙ্গবন্ধু কারও ভাষণ দেখে ভাষণ দেননি। বঙ্গবন্ধু ১৯ মিনিট একনাগাড়ে ভাষণ দিয়েছেন। মানুষের সঙ্গে কানেক্ট করার জন্য যে শব্দ চয়ন প্রয়োজন, সে শব্দ তিনি চয়ন করেছেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসুন হিংসা পরিহার করে যার যার অবস্থান থেকে রাজনীতি করি। সরকারে থাকলে সমালোচনা হবে, কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা করি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মনের কথা। এই ভাষণ শুধু বাঙালির মুক্তির পথ দেখায়নি। এ ভাষণ মানবমুক্তির পথ দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বিশ্বের অনন্য ভাষণের একটি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। আমেরিকার আব্রাহাম লিংকন ভাষণ দিয়েছিলেন আমেরিকার গৃহযুদ্ধ বন্ধের জন্য, আর বঙ্গবন্ধুর ভাষণ একটি দেশ স্বাধীন করার জন্য। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অনন্য।

জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন উদার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী একজন মানুষ। ৭ মার্চের ভাষণেও আমরা এর প্রতিফলন দেখতে পাই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু খুব ভালো করেই জানতেন পাকিস্তানি সামরিক কর্তৃপক্ষ জনগণের উপযুক্ত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তাই ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে সামরিক কর্তৃপক্ষকে চারটি শর্ত জুড়ে দেন যা পাকিস্তানের অস্তিত্বকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর