সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ষড়যন্ত্রের আস্তানা বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে : নানক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ষড়যন্ত্রের আস্তানা বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে : নানক

রাজধানীর ধানমন্ডিতে গতকাল কৃষক লীগ আয়োজিত কৃষক সমাবেশ ও আলোচনা সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ অতিথিরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ওই দিবাস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই। এটি ১৯৭৫ সাল নয়, এটি ২০২১ সাল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের আস্তানায় আঘাত হেনে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রাঙ্গণে গতকাল দুপুরে কৃষক লীগ আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঐতিহাসিক

৭ মার্চ উদ্যাপন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে কৃষক সমাবেশ, আলোচনা সভা ও আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে সংগঠনটি। কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, কৃষক লীগের শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসনে আরা বেগম এমপি, মো. আবুল হোসেন, মাকসুদুল ইসলাম, বিশ্বনাথ সরকার বিটু, অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার এমপি, এ কে এম আজম খান, গাজী জসিম উদ্দিন, কৃষিবিদ ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, সৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীক, নাজমুল ইসলাম পানু, নূরে আলম সিদ্দিকী হক, হিজবুল বাহার রানা, রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হলো। আমরা যারা মুজিবপ্রেমী, ৭ মার্চের ভাষণ বাঁচানোর চেষ্টা করেছি, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ ছাড়া তারা বাজারে থাকা ৭ মার্চ ভাষণের সব কিছু মুছে দিতে চেয়েছিল। আজ তারাই ৭ মার্চের ভাষণ পালন করছে। তাদের এসবই দেশ-বিদেশের ষড়যন্ত্রের অংশ।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলার মানুষ সরকার পতনের তর্জন-গর্জন আর বিশ্বাস করে না। জনগণ বিএনপির ওপর থেকে আস্থা হারিয়েছে। জনগণ দেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি-শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। বিএনপির আন্দোলনের নামে অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার জনগণ। তবুও দেশ-বিদেশের যে ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তার জন্য আমাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

মির্জা আজম বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না আসতে পেরে দলটির নেতা-কর্মীরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। তাই নানা রকম বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন দেখছেন। বিএনপিকে মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগের দরকার হবে না। দলের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগ, যুবলীগ-ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগই যথেষ্ট। সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা মাঠে নামলে বিএনপি পালাবার পথ পাবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর