সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর কাক্সিক্ষত মুক্তি পেতে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে : ইকবাল মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যে মুক্তির কথা বলেছেন, সেই মুক্তি পেতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতেই হবে। তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের শক্তি দেয়, প্রেরণা দেয়।

গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিপীড়িত মানুষের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির এক অনবদ্য আহ্বান, অনুপম সাহিত্যকর্ম,  গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি, রাজনীতির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনার সমন্বিত দলিল।

 এ ভাষণের প্রতিটি শব্দই তাৎপর্যপূর্ণ। একটি তর্জনী একটি দেশের স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠবে এমনটি আমি অন্য কোনো ভাষণে দেখিনি। এই তর্জনী আজ বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। এটা আমাদের গর্বের।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা মানে শুধু ভৌগোলিক স্বাধীনতা নয়, বরং স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য হচ্ছে গণমানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে মুক্তির কথা বলেছেন। যুদ্ধ থেকে শান্তি, অতীত থেকে ভবিষ্যৎ সবই বলেছেন। তাই তো ৫০ বছর আগের এ ভাষণ আজও যখন বাজে, তখন আমাদের রক্তে অনুরণন ঘটে। এটা চিরঞ্জীব, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতার নতুন সূর্য ফিরে পাওয়ার প্রথম দৃপ্ত উচ্চারণ বলে আমি মনে করি।

ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের শক্তি দেয়, প্রেরণা দেয়। বঙ্গবন্ধু যে মুক্তির কথা বলেছেন, সেই মুক্তি পেতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতেই হবে। যেহেতু এটা দুদকের আইনি দায়িত্ব, তাই দৃঢ়তার সঙ্গে নির্মোহভাবে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখা হবে। সার্বিকভাবে মুক্তির জন্য শিক্ষকসহ সমাজে যার যার যে দায়িত্ব আছে, তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। তাই আসুন, আমরা সবাই আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে মুক্তির পথকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

এ সময় দুদক চেয়ারম্যান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম জাতির পিতার রাজনৈতিক জীবনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে বলেন, এ ভাষণকে অতীতের ঐতিহাসিক সংগ্রাম, বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনার একটি দলিল বলা যেতে পারে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা একসময় মন্ত্রী হিসেবে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর দায়িত্বে ছিলেন। তাই প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আদর্শবান কর্মী হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।

দুদক সচিব ড. মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ঐতিহাসিক এই ভাষণ শুধু জাতীয় সম্পদ নয়, এটা আজ আন্তর্জাতিক সম্পদে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। আচার-আচরণে ইতিবাচক হওয়া উচিত। নেতিবচক মানসিকতার কারণেই ভালো কাজেরও সমালোচনা হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সামান্য ত্রুটিকে বড় করে দেখা হয়।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আকতার হোসেন, উপ-পরিচালক নাজমুস সায়াদাত, মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর