আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে অপশক্তি ধর্মের নামে নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করে রাখতে চায়, বিএনপি তাদের পৃষ্ঠপোষক। গতকাল সকালে তার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার নারীদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের পাশাপাশি তাদের কর্মের স্বীকৃতিতে বিশ্বাসী। নারীদের সম্মান এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত যা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি বয়ে আনছে। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনাবেতনে অধ্যয়নের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।
সরাসরি ভোটে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নারী প্রতিনিধি নির্বাচন হচ্ছে, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বাড়ানো হয়েছে। নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে জামানতবিহীন ঋণ প্রদান করা হয়েছে। চ্যালেঞ্জিং পেশায় বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সন্তানের পরিচয় ও নিবন্ধনে বাবার পাশাপাশি মায়ের নাম যুক্ত করার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নারীদের দিয়েছেন অনন্য স্বীকৃতি। ’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে যত সরকার এসেছে নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনাই প্রমাণ করেছেন তাঁর সরকার নারীবান্ধব।বিএনপির শাসনামলে ফাহিমা, পূর্ণিমার মতো হাজারো নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তখন সংখ্যালঘু নারীদের ওপর যে নির্যাতন হয়েছিল তা ’৭১-এর পাক-হানাদারদের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার একদিকে নারীর প্রতি লাঞ্ছনাকারীদের বিরুদ্ধে যেমন কঠোর, অপরদিকে নারী উন্নয়নের সব সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিতেও সচেষ্ট।
বাস থেকে একজন নারী যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিষয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত এবং দুঃখজনক। তিনি ইতিমধ্যেই বিআরটিএ-কে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।