বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাবিতে নেতাকে মারধর ছাত্রলীগ কর্মীর

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রস্রাব করা নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছেন একই সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার কর্মী জামান সামি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার হন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় স্কুল ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পুতুল চন্দ্র রায়। এ ঘটনায় সামিকে বহিস্কার করেছে ছাত্রলীগ।

 প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুতুল চন্দ্র রায় ও তার সঙ্গে থাকা আরেকজন আইন অনুষদের ভিতরে (মোতাহার হোসেন ভবন) একটি জায়গায় প্রস্রাব করছিলেন। এ সময় পাশেই জামান সামি ও তার কয়েকজন বন্ধু অবস্থান করছিলেন। সামি এসে তাদের বাধা দেন এবং একজনের কলার ধরে ফেলেন। পুতুল তার পরিচয় দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সামি পুতুলের কপালে ঘুসি মারলে তার চোখের ভ্রুর কাছে ফেটে যায়। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন। তার ভ্রু-তে আটটি সেলাই লেগেছে।

পুতুলের অভিযোগ, ‘সামিসহ দুজন অতর্কিত আমার ওপর হামলা চালিয়েছে’। পরে প্রক্টরিয়াল টিম আসার পরে তারা হাতেনাতে ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে মারার বিষয়টি অস্বীকার করে। এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শীর্ষ নেতাদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে, অভিযুক্ত সামির বক্তব্য জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার এক বন্ধু রিসিভ করেন। ‘সামি কথা বলতে চাচ্ছে না’ বলে জানান ওই বন্ধু।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অনুরোধ করেছি।’ তবে কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই সাড়া দেননি।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া’র একটি ব্যাপার থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। কোনো পক্ষই ঠিক কাজ করেনি। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সবাইকে গভীর রাতে অপ্রয়োজনে চলাচল না করার পরামর্শ দিচ্ছি। এর জন্য প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর