অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, ‘স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, পরিবেশ সুরক্ষা, কৃষি উৎপাদন, খাদ্যনিরাপত্তার মতো অনেক বিষয় বিবেচনা করেই আমদানি-রপ্তানিতে কর বসানো হয়। শুধু অপরের ওপর নির্ভরশীল থাকব? স্বনির্ভরতা অর্জন করব না? গতকাল নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ফিনিশড প্রডাক্টে কর বসানো হয় দেশি শিল্পকে সুরক্ষা দিতে। কর নির্ধারণে আন্তর্জাতিক কিছু চুক্তির কারণে বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হয়। সোডিয়াম সালফেট আমদানি সীমিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে। লবণচাষিদের রক্ষায় সেভাবে আমদানি অনুমোদন দিতে হবে। পোড়া মবিল গাড়ির যন্ত্র ও পরিবেশ নষ্ট করে। ব্যবহৃত লুব্রিকেন্টের ডাম্পিং জোন কেন বাংলাদেশ হবে?
তিনি বলেন, ‘হিসাব স্বচ্ছ হলে রাজস্ব, কর নিয়ে ভয় নেই। অডিট রিপোর্টের জন্য আমরা অ্যাপস ডেভেলপ করেছি। অডিটের ডাটা ইনপুট দিলে কোড নম্বর আসবে। নম্বর ছাড়া অডিট রিপোর্ট গ্রহণ করব না। কমপ্লায়েন্সের মধ্যে আসতে হবে। হিসাবের স্বচ্ছতার জন্য আমরা অটোমেশন নিয়ে আসছি।’মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। সভায় চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন বলেন, ‘বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিতে চেষ্টা করছি। ৯ হাজার টিইইউস পণ্য নিলামের অপেক্ষায় আছে। এগুলো দ্রুত নিলাম করলে বন্দরে জট কমবে।’ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু বলেন, কাস্টম হাউসে জনবলের অভাব রয়েছে। পরীক্ষাগারে কেমিস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. এনায়েত উল্লাহ, কক্সবাজার চেম্বারের সভাপতি আবু মোরশেদ খোকা, রিহ্যাব চট্টগ্রাম সভাপতি আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী, কনফিডেন্স সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন আহমেদ, বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম আকতার হোসেন। চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বান্দরবান চেম্বারের অমল কান্তি দাশ, চিটাগাং উইম্যান চেম্বার, রাঙামাটি চেম্বার, টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও ফার্নিচার মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
