শিরোনাম
বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

নৌপথে প্রথমবারের মতো খাদ্যপণ্য যাচ্ছে ভারতে

কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে জাহাজ আলিফ লাম মিম-৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় নৌপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাঠানো হয়েছে খাদ্যপণ্যের প্রথম চালান। গতকাল দুপুরে নরসিংদীর পলাশে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে নৌপথে খাদ্যপণ্য রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রথম চালানে ৪০ হাজার কার্টন প্রাণ লিচি ড্রিংক নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এমভি আলিফ লাম মিম-৩। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর শেষ দিনে আমরা নৌপথে ভারতে খাদ্যপণ্য রপ্তানির যে সূচনা করতে পারলাম, তা দেশ-বিদেশে সব বাংলাদেশির জন্য গর্বের। পণ্য পরিবহনে সবচেয়ে সাশ্রয়ী নৌপথ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নদীপথে বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরির ঘোষণা দিয়েছিল। ইতিমধ্যে আড়াই হাজার কিলোমিটার নৌপথ করেছি। নৌপথ বাড়ানো, নদীর নাব্য ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছি। নৌপথে অনেক পণ্য একসঙ্গে পরিবহন করা যায়, খরচও কম। পণ্যের দাম কমিয়ে বাজার দখল করা সহজ হবে। ভবিষ্যতে আমরা নৌপথ ব্যবহার করে আসাম, ভুটানসহ আশপাশের বিভিন্ন দেশে পণ্য পাঠাতে চাই। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশকে অনেকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলেছিল। যত সম্পদ দেওয়া হবে, সব নাকি নিচ দিয়ে পড়ে যাবে। সেই ঝুড়ি আজ উপচে পড়ছে। আমরা আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছি। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর উদ্দীন, নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটির পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভারত থেকে জলযানগুলো শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে বাংলাদেশে আসে, ফিরে যায় খালি। ওই জলযানগুলোয় সাশ্রয়ী খরচে বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য ভারতে পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। নিজেদের পণ্য পাঠানোর মাধ্যমে সুযোগটি গ্রহণ করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। গতকাল রওনা হওয়া খাদ্যপণ্যবাহী কার্গোটি ৭১০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে খুলনার শেখবাড়িয়া হয়ে কলকাতা বন্দরের টিটি শেডে গিয়ে পৌঁছাবে। সড়ক পথের চেয়ে খরচ কমবে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। সড়ক পথের ওপর থেকে চাপ কমবে। এই পরিমাণ পণ্য স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি করলে ৪০টি ট্রাকের প্রয়োজন হতো।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর