শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

সুখী দেশের তালিকায় এগিয়ে ৬৮তম বাংলাদেশ

আংশিক প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান ৯২তম

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকার শীর্ষে এখন ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৬৮তম। এবারের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে ফিনল্যান্ডের পরেই রয়েছে আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের নাম। তালিকায় যে ৯৫টি দেশের নাম প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সবচেয়ে তলানিতে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। এই দেশটির ওপরেই রয়েছে তানজানিয়া, জর্ডান, ভারত ও কম্বোডিয়া।

এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণে ২৭ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু দেখেছে বিশ্ব। শুধু তাই নয়, এই মহামারীর ধাক্কা লেগেছে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে। এ কারণেই এবারের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে প্রাধান্য পেয়েছে করোনা মহামারী।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এটি টেকসই উন্নয়ন নেটওয়ার্কের সুখবিষয়ক নবম বার্ষিক প্রতিবেদন। আজ ২০ মার্চ বিশ্ব সুখ দিবসে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে। তবে তার আগে প্রতিবেদনটির আংশিক প্রকাশ করা হয়েছে। আংশিক এই প্রতিবেদনে ৯৫টি দেশের নাম ছিল। আংশিক প্রতিবেদনটি থেকে জানা গেছে, এবার বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ২৮০। গত বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ দশমিক ৮৩৩। তার আগের বছর স্কোর ছিল ৪ দশমিক ৪৫৬। আর ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ দশমিক ৫০০।

এর আগে ২০২০ সালের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট-এ ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৭তম। তার আগের বছর ১৫৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৫তম হয়েছিল। আর ২০১৮ সালে ১৫৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১১৫তম অবস্থানে ছিল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আংশিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ছাড়া শুধু ভারতের নাম রয়েছে। এই তালিকায় ভারতের অবস্থান ৯২তম।

এর আগে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), গড় আয়ু, মানবিকতা, সামাজিক সহায়তা, স্বাধীনতা ও দুর্নীতির ওপর ভিত্তি করে সুখী দেশগুলোর তালিকা করা হতো। এর সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে করোনা পরিস্থিতি।

প্রতিবেদনটি তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক বিশ্লেষক ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গ্যালপ এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান লয়েডস রেজিস্টার ফাউন্ডেশনের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনা মহামারী-সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ব্রিটিশ ইন্টারনেটভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভের আইসিএল-ইউগভ বিহেভিয়ার ট্র্যাকার থেকে।

এবারের প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী দলে ছিলেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার অধ্যাপক জন হেলিওয়েল। তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘(করোনা পরিস্থিতি সত্ত্বেও) আশ্চর্যজনকভাবে মানুষের ভালো থাকায় গড় হিসাবের দিক থেকে তেমন কোনো নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়নি। এর একটি কারণ হতে পারে, মানুষ করোনা মহামারীকে সবার ক্ষেত্রেই বাহ্যিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে। ফলে এক ধরনের সংহতির সৃষ্টি হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর