সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে অভিজ্ঞ জনবলের সংকট

দৃশ্যমান উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে অভিজ্ঞ জনবলের সংকট

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবলের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে নগর উন্নয়নে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চসিকের মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। এখনো সংস্থাটির অনেক কিছুই তাঁর অবগতি-নজরদারির বাইরে। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা যোগ দিয়েছেন। প্রায় দেড়মাস ধরে নেই সচিব। প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাও এসেছেন নতুন। প্রায় ছয়মাস ধরে ওএসডি প্রধান হিসাবরক্ষণ  কর্মকর্তা। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা থাকলেও এলোমেলোভাব নিয়েই চলছে  অতিজরুরি বিভাগটি। প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা অসুস্থতার কারণে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না অন্তত ছয়মাস। উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করলেও এ নিয়ে উঠেছে নানা অভিযোগ। প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ অবসরে গেলে নতুন করে দায়িত্ব পালন করছেন আরেকজন। প্রকৌশল বিভাগেও কমেছে অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর সংখ্যা। এভাবে কমছে চসিকের দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবলের সংখ্যা। সংশ্লিষ্টদের মতে চসিক চলছে তুলনামূলক অনভিজ্ঞ প্রশাসন দিয়ে। 

চসিকের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১০০ দিনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছি। একই সঙ্গে চসিকের সামগ্রিক কর্মকান্ড, কর্মসূচি এবং চলমান প্রকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ ও কাজ ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করেছি। পর্যবেক্ষণ পরবর্তী প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি চসিকে বর্তমান বিদ্যমান জনবল দক্ষ ও অভিজ্ঞ। প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা অনুসারে তারা কাজও করছেন। আশা করি আমরা কাক্সিক্ষত আধুনিক নগর প্রতিষ্ঠায় কাজ করে সফল হব।’  

জানা যায়, চসিকে বর্তমানে চলছে অর্থ সংকট। আয়ের অন্যতম প্রধান দুই উৎস- কর ও আয়বর্ধক প্রকল্প। করোনাসহ নানা কারণে কর আদায় কমছে। গত ১২ বছর ধরে নেওয়া হয়নি কোনো আয়বর্ধক প্রকল্প। উল্টো চসিকের অনেক ভূ-সম্পত্তিতে আয়বর্ধক প্রকল্প না করেই নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়েছে। ফলে চসিক বঞ্চিত হয়েছে আয় থেকে। হ-য-ব-র-ল অবস্থায় চলছে পরিচ্ছন্ন বিভাগ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নেই কোনো পরিকল্পনা।

 গৌরব হারিয়েছে চসিকের ১০০ শয্যার মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল, ৩০ শয্যার অপর দুটি মাতৃসদন চালু থাকলেও চলছে খুঁড়িয়েই এবং অবহেলায় বন্ধ করা হয়েছে দুটি মাতৃসদন হাসপাতাল। নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও কমেছে কাক্সিক্ষত সেবা। প্রকৌশল বিভাগে প্রকল্পভিত্তিক উন্নয়ন কাজ চললেও গতি মন্থর।

সর্বশেষ খবর