বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

বন্দর থেকে রাসায়নিক পণ্য ছাড়িয়ে নিতে ব্যাপক সাড়া

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন দেশ থেকে সম্প্রতি আমদানি করা বিপজ্জনক (ডিজি) এবং রাসায়নিক পণ্যভর্তি কনটেইনার ও কার্গো পণ্যের জট কমাতে গুদাম ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব আমদানি পণ্য বন্দর ইয়ার্ড থেকে ছাড়িয়ে না নিলে চারগুণ স্টোর রেন্ট বাড়ানোর ঘোষণা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। সম্প্রতি আমদানি করা ডিজি পণ্যের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা মারাত্মক বিপজ্জনক ২৩ ধরনের রাসায়নিক পদার্থও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ২০ বছর ধরে পড়ে ছিল এমন চালানও রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর এখন অনেকটাই নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত বলে জানান পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা বিপজ্জনক ও রাসায়নিক পণ্যবাহী কনটেইনারের ডেলিভারি বুঝে নিতে সাম্প্রতিক সময়ে আমদানিকারকরা দীর্ঘায়িত করছিলেন। এতে ঝুঁঁকিতে পড়ে দেশের এ প্রধান সমুদ্র বন্দর। একদিকে বিস্ফোরণের ঝুঁঁকি অন্যদিকে কনটেইনার জট তৈরি হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। এসব ঝুঁকি কমাতে ও সময় বাঁচাতে ডিজি পণ্যবাহী কনটেইনার ও কার্গো পণ্য দ্রুত ডেলিভারি নিতে আমদানিকারকদের অনুরোধ করা হয়। এরপরও কাজ না হলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার কথা বলা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে রেগুলেশন্স ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগং পোর্ট (কার্গো অ্যান্ড কন্টেইনার)-২০০১ এর ১৬০ ধারা অনুযায়ী গুদাম ভাড়া চারগুণ হারে বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। আর এ ঘোষণার পরই বন্দর ইয়ার্ড থেকে ডিজি পণ্য ছাড়িয়ে নেওয়ার হিড়িক পড়ে।

পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম বলেন, জাহাজ থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ কনটেইনার নামছে, সেই গতিতে বন্দর থেকে ছাড় না নেওয়ায় বন্দরে কনটেইনার জটের সৃষ্টি হচ্ছে। গুদামের ভাড়া বাড়ালে আমদানিকারকদের ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। তখন তারা দ্রুত কনটেইনার ডেলিভারি নিতে তৎপর হবেন। এ পরিকল্পনা মতেই আমরা বিজ্ঞপ্তি দিলে তাতে বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যায়। এছাড়া লেবাননের বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনার মতো যেন বাংলাদেশে এমন কোনো ভয়াবহ ঘটনা না ঘটে, সে কারণেও এসব ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর