প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এই প্রথম পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আজ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর সঙ্গে সিলেট-চট্টগ্রামের মধ্যে বিমান যোগাযোগ। পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা গতকাল দুই দিনের সিকিম সফর শুরু করেছেন। সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে চতুর্থ আন্তর্জাতিক বক্তৃতায় অংশ নিয়ে শ্রিংলা ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে চিহ্নিত করার বিষয়ে বক্তব্য দেবেন। সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে। চীন, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সরাসরি একই আন্তর্জাতিক সীমানায় থাকায় এবং বাংলাদেশসংলগ্ন সুবিধাজনক শিলিগুড়ি করিডোরের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় সিকিম ভারতের অ্যাক্টইস্ট পলিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দু।
পূর্ববর্তী সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে এবং তার পরে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রতিবেশী দেশ এবং আসিয়ান অঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের আঞ্চলিক সংযোগ উন্নত করার ক্ষেত্রে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। শিলিগুড়ি করিডোরসংলগ্ন হওয়ায় সিকিম উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত ক্রমবর্ধমান সড়কব্যবস্থা এবং রেলওয়ে নেটওয়ার্কগুলোর সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে যুক্ত হয়ে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।
ভারতের সিকিম রাজ্যের রাজধানী গ্যাংটকের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগের অনেক প্রস্তাব ছিল। শ্রিংলা সে বিষয়ে ঘোষণা করতে পারেন। ইতিমধ্যে গতকাল বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে সম্মেলন হয়েছে। এখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে খুব শিগগিরই শ্রীলঙ্কা শীর্ষ বৈঠক আহ্বান করবে। যেখানে কানেকটিভিটি নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।