শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

পুকুর খননের আড়ালে মাটি চুরির মচ্ছব

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) একসঙ্গে চারটি পুকুর খনন করা হচ্ছে। দুটির খননকাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন চলছে মোহনপুর এলাকায় আরেকটি পুকুর খননের কাজ। গোপন সূত্রে জানা গেছে, পুকুর খননের আড়ালে চলছে মাটি চুরির মচ্ছব। এর আগে আইবিএ ভবনের পূর্বপাশে দুটি পুকুর খনন করা হয়েছে। তার আগে জোহা হলের পূবপাশে আরও একটি পুকুর খননের কাজ আটকে রয়েছে। আর রাবি এলাকায় আগেই ২০টি ছোট-বড় পুকুর আছে। তারপরও নতুন করে চারটি পুকুর খননের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। রাবির কৃষি প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী, খননের পর পুকুরের পাড় বাঁধাই করে অতিরিক্ত মাটি পাশেই রাখতে হবে। এ মাটি ব্যবহারের বিষয়ে কৃষি প্রকল্প সিদ্ধান্ত নেবে। তবে দেখা গেছে, পুকুর খননের মাটিগুলো ট্রাক্টরে বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সকালে রাবির বুধপাড়া ও চৌদ্দপাই সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টরে মাটিগুলো চৌদ্দপাইয়ের দিকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে পুকুর খননের কাজে যুক্ত কয়েকজন গাড়ি চালকের সঙ্গে কথা হলে তারা কোনো উত্তর দেননি। স্থানীয়রা জানান, গত বছর বধ্যভূমির পেছনে মোহনপুর সড়কের সঙ্গে একটি পুকুর খনন করা হয়। সেই পুকুর খননের মাটিগুলো ভাটায় বিক্রি করে ঠিকাদার। তার আগের বছর জোহা হলের পূর্বদিকে রাস্তার পাশে একটি জলাশয় কেটে পুকুর করা হয়। আর তিন বছর আগে বধ্যভূমির সামনে আরও দুটি পুুকুর খনন করা হয়। এর মধ্যে বড়টিতে মাছ চাষ চলছে। পাশেরটি পড়ে আছে। একাধিক সূত্র জানায়, রাবির এগ্রিকালচার বিভাগে কয়েকটি ছোট ছোট পুকুর আছে। শিক্ষার্থীরা জানান, সেগুলোতে শিক্ষার্থীদের মাছ চাষের বিষয়ে শেখানো হয়। পুকুর খননের জন্য বেশ কিছু গাছও কাটা পড়েছে। সেই গাছগুলো রাবির শ্রমিকরাই কেটে পুকুর খননের জায়গা করে দিয়েছেন। এরপর রাতদিন চলছে পুকুর খনন। আর পুকুর খননের মাটিগুলো ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর