শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

রাবিতে ফল বিপর্যয়ের অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রীকে শিক্ষার্থীদের চিঠি

রাবি প্রতিনিধি

ফল বিপর্যয়ের অভিযোগ তুলে তদন্তপূর্বক ফলাফল পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইআর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীর অনৈতিকতা, পক্ষপাতিত্ব এবং প্রতিশোধপরায়ণতার কারণে তাদের ২০১৯ সালের এমএসএস পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় ঘটেছে। বৃহস্পতিবার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রতিটি কোর্সের জন্য ২০ ভাগ নম্বরের দুটি ইনকোর্স পরীক্ষা নেওয়ার বিধান থাকলেও চারটি কোর্সে ইনকোর্স পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। অন্য চারটি কোর্সে একটি করে ইনকোর্স পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। বিভাগের অধ্যাপক সুবেন কুমার চৌধুরী বিদেশে চলে গেলে তার দুটি কোর্স আর কোনো শিক্ষককে দেওয়া হয়নি এবং ওই দুটি কোর্সের কোনো ইনকোর্স পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি। আর বিভাগের সভাপতি তার দুটি কোর্সের মধ্যে একটির ক্লাস নেননি এবং অন্যটিতে মাত্র তিনটি ক্লাস নিয়েছেন। এ ছাড়া কোনোটিতেই ইনকোর্স পরীক্ষা নেননি।’ চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, ‘অধ্যাপক সুবেন কুমার চৌধুরী ও বিভাগের সভাপতির চারটি কোর্সের ইনকোর্স নম্বর কীভাবে দেওয়া হয়েছে তা বোধগম্য নয়। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ইনকোর্স পরীক্ষার নম্বর যথাযথভাবে না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। চারটি কোর্সেই শিক্ষার্থীদের ফল বিপর্যয় বেশি ঘটেছে।’

বিভাগের সভাপতির অনৈতিক কর্মকান্ড বিভিন্নভাবে ফলকে প্রভাবিত করেছে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা চিঠিতে আরও সাতটি বিষয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন।

সেগুলো হলো- পরীক্ষা কমিটি গঠনে অনিয়ম, উদ্দেশ্যমূলকভাবে অন্য ডিসিপ্লিনের ও সভাপতির ঘনিষ্ঠ শিক্ষকদের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন, থিসিসের পরীক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম, পছন্দের শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বলে দেওয়া ও তাদের থিসিস সভাপতির কাছের শিক্ষকদের দিয়ে পরীক্ষণ করে বেশি নম্বর প্রদান, শিক্ষার্থীদের নিজের কাজে ব্যবহার করা ও তাদের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণে প্রবৃত্ত হওয়া, সভাপতির অপকর্ম সম্পর্কে বিভাগের শিক্ষকদের নির্লিপ্ততা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের উদাসীনতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্যার অনৈতিক উদ্দেশ্যে তার পছন্দের শিক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছেন ও আমাদের ফল কমিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের বাবা-মায়ের স্বপ্নকে হত্যা করেছেন। এ ক্ষেত্রে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান দুর্নীতির বলি হয়েছি বলে মনে করি। তা ছাড়া এখনো তিনি আমাদের নানাভাবে নিপীড়ন করছেন। তিনি আমাদের হেনস্তা করতে ইচ্ছাকৃতভাবে অসংগতিপূর্ণ ও ভুল প্রশংসাপত্র দিয়েছেন। আমরা শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসির কাছে সুষ্ঠু তদন্ত আশা করছি। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ নেব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর