শিরোনাম
সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

নওগাঁয় নদীর তীরে তরজুম চাষ

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

নওগাঁয় নদীর তীরে তরজুম চাষ

নওগাঁর পত্নিতলা উপজেলায় আত্রাই নদীর তীরসহ ছোট-বড় কয়েকটি চরে তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন  পেয়েছেন কৃষকরা। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এবার অনেকেই চরে তরমুজ চাষ করেছেন। এক সময় নদীতে  জেগে ওঠা চরগুলো অনাবাদি পড়ে থাকত। এখন ওইসব অনাবাদি জমিতেই তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। জানা যায়, পতœীতলা উপজেলার নির্মইল ইউনিয়ন, মাটিন্দর ইউনিয়ন, কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন, পাটিচরা ইউনিয়ন, নজিপুর ইউনিয়ন, ঘোষনগর ইউনিয়ন, আমাইড় ইউনিয়ন ও শিহাড়া ইউনিয়নের কৃষকরা তরমুজ চাষ করেছেন। এছাড়াও আত্রাই নদীর তীরসহ ছোট-বড় কয়েকটি চরে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এ বছর তরমুজের দ্বিগুণ ফলন হয়েছে। পতœীতলায় তরমুজ চাষিদের বেশিরভাগ পাশের গ্রাম থেকে এসেছেন। স্বল্প সময়ের জন্য চরাঞ্চলে আসা এই কৃষকরা খেতেই তাঁবু টাঙিয়ে অস্থায়ী বসতি গড়েছেন। 

খেত থেকে তরমুজ তোলা শেষ হলে তারা আবার নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোট চাঁদপুর, বড় চাঁদপুর, পূর্ব পাটিচারা, বড় পাটিচারা নদীর দুই পাশে ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে।  গ্লোরি, জাম্বু, ওরিয়ন, বাংলালিংক জাতীয় বিদেশি তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা। এ বছর তরমুজের ভালো ফলন হওয়ায় খুশি কৃষকরা। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি করতে পারছেন তারা। তরমুজ চাষি স্বপন হাওলদার, গোপাল, ধীরেন জানান, চলতি বছর পতœীতলা কৃষি অফিসের প্রযুক্তিগত সহায়তায় তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি একর জমিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে আনুমানিক ৪ হাজার তরমুজ উৎপাদিত হয়। যার আনুমানিক বিক্রয় মূল্য ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর তরমুজের দ্বিগুণ ফলন হয়েছে। অনাবাদি চরে তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

তরমুজ চাষি নকুল কুমার বলেন, আমি এ বছর ১০ কাঠা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ পাওয়ায় তরমুজে তেমন  কোনো রোগ বালাই নাই। ফলন ভালো হওয়ায় খরচ বাদেও আমার অনেক টাকা লাভ হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারি ও পরামর্শে উপজেলার  বেশ কয়েকটি চরে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। খরচ বাদ দিয়েও কৃষকদের দ্বিগুণ লাভ হবে।

সর্বশেষ খবর