বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

এবার পাহাড়ে নেই বিজু উৎসব

রাঙামাটি প্রতিনিধি

এবারও বৈসাবিতে উৎসব হচ্ছে না পাহাড়ে। তাই উৎসব রংও লাগেনি। করোনা আতঙ্কে ¤øান পুরো পাহাড়। শঙ্কায় বাতিল সব আনন্দ উল্লাস। উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা। নেই দুপুরের ছন্দ। বাতাসেও ভাসছে না গানের সুর। অথচ এদিনে উৎসবের নগরীতে পরিণত হতো পার্বত্যাঞ্চল অর্থাৎ তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। কিন্তু এখন একেবারেই ভিন্ন চিত্র। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে বাতিল করা হয়েছে পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বৈসাবি উৎসব। বিজু, বৈসু, সাংগ্রাই, বিষু-২০২১ উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব ইন্টু মণি চাকমা বলেন, ‘দেশব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে সরকারি নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের সব অনুষ্ঠান স্থগিত রাখছি। জনসমাবেশ হবে এমন অনুষ্ঠান বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকাশনা বের করা হবে।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে শুধু পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা ভিন্নভাবে পালন করে বর্ষবরণ উৎসব।

নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে ত্রিপুরারা বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই ও চাকমারা বিজু নামে পালন করে এ উৎসব। তাদের বৈসু-সাংগ্রাই-বিজু এ তিন নামের অর্ধ অক্ষর নিয়ে উৎপত্তি হয়েছে ‘বৈসাবি’ নামের। এ বৈসাবি উৎসবে পুরনো বছরের কালিমা আর জীর্ণতা ধুয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা। সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি পালিত হয় রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে।

পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ভাষ্য, এপ্রিল অর্থাৎ চৈত্র এলেই একটি পাখি এসে বিজু বলে ডাক দিয়ে যায়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা এ পাখিকে বিজু পেক্কো (বিজু পাখি) বলে। তাদের ধারণা, এ পাখির সুমধুর কলতান বৈসাবি উৎসবের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর