শিরোনাম
শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা ওয়ার্ডই!

রাহাত খান, বরিশাল

আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা ওয়ার্ডই!

বরিশালে শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডের সামনে উন্মুক্ত স্থানে ফেলা হচ্ছে করোনার বর্জ্য -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনা সংক্রামণ রোধে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার মাখা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ খোদ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ময়লা-আবর্জনায় বীভৎস চিত্র। ওয়ার্ডের মেঝেতে রক্তের দাগ। যেখানে সেখানে ময়লার স্তূপ। বাথরুম টয়লেটও ব্যবহার অনুপযোগী। এতে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। আবার করোনা ওয়ার্ডের যাবতীয় বর্জ্য ফালানো হচ্ছে হাসপাতালের সামনে উন্মুক্ত স্থানে। এতে করোনা জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন রোগীর স্বজনরা। যদিও করোনা ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার প্রয়োজনীয় লোকবল নেই বলে অজুহাত দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে প্রবেশের সময় ডানপাশে দেখা যায় উন্মুক্ত বর্জ্য। করোনা ওয়ার্ডের যাবতীয় বর্জ্য ফালানো হচ্ছে সেখানে।

রোদে শুকিয়ে এবং বাতাসে এই বর্জ্যরে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। ৫ তলা করোনা ওয়ার্ড ভবনের প্রতিটি তলা প্রতিটি কক্ষ নোংরা-দুর্গন্ধময়। ওয়ার্ডের মেঝেতে রক্তের দাগ। ময়লা পড়ে কালো ফ্যাকাশে হয়ে গেছে হয়ে মেঝের টাইলস। যেখানে-সেখানে ময়লা-বর্জ্যরে স্তূপ। সব শেষ কবে করোনা ওয়ার্ড পরিষ্কার করা হয়েছে তা জানা নেই কারোর। বর্জ্যরে গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা করোনা ওয়ার্ডের রোগী ও তাদের স্বজনদের। নোংরা পরিবেশে মুমূর্ষু রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় করোনা ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।

করোনা ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সেবিকা চম্পা মালাকার জানান, করোনা ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নেই তাদের কাছে। একজন লোক আছে যিনি সারা দিন অক্সিজেন সিলিন্ডার ওঠা-নামা করতে করতে ক্লান্ত। এ অবস্থায় পেটেভাতে কর্মীরা রোগীদের বখশিশের টাকায় কোনোমতে ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখছে।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানান, করোনা ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখতে ৩ শিফটে চতুর্থ শ্রেণির অন্তত ৩০ জন কর্মচারী দরকার। সেখানে আছে মাত্র ৩ জন। তারপরও তারা সাধ্যমতো করোনা ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করছেন।

করোনা ওয়ার্ডের নোংরা পরিবেশের কথা স্বীকার করে পরিচ্ছন্ন কর্মীর চরম সংকটকে দায়ী করেছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, চালানোর জন্যই করোনা ওয়ার্ড চালাচ্ছেন। এটা যে খুব ভালোভাবে চলছে তা বলা যাবে না। প্রয়োজনের ১০ ভাগের একভাগ কর্মী দিয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী করোনা ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। এই সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর